Thank you for trying Sticky AMP!!

মন্টু-সুব্রতকে বাদ দিয়ে গণফোরামের কমিটি

মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। ফাইল ছবি

পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার ও কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির পর এবার গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এতে জায়গা হয়নি মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরীসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাদের।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরে ৭২ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অনুমোদিত লিখে কামাল হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে। গত ৪ মার্চ কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান ছাড়াও আ ও ম শফিক উল্লাহ, মহসিন রশীদসহ অনেকেই আছেন।

এ কমিটিতে নেই গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও আবু সাইয়িদসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, যারা দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এবং সহযোগিতা করেনি তাঁদের রাখা হয়নি। যাদের নাম তালিকায় আছে তাঁরাই পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, পূর্বে যারা ছিলেন তাঁরা অনেক জায়গাতে কমিটি করেনি এবং নতুন করে কমিটি করতে গেলে তাঁকে বাধাও দেওয়া হয়েছে। কামাল হোসেনের চেম্বারে বসে রাজনীতির সময় শেষ। এখন এলাকায় গিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা হবে।

মোস্তফা মহসিন মন্টু গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ২৬ বছরে কখনো এ রকম কোনো সমস্যা হয়নি। আমি চাই না গণফোরাম নামে একাধিক দল গড়ে উঠুক। দলের জন্য খারাপ এবং যা হচ্ছে তা কামাল হোসেনের জন্যও খারাপ।’ পরবর্তীতে কী হবে সেটা জানতে চাইলে বলেন, দলের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ওপর নির্ভর করছে। আমি এখনো কামনা করি যে ওনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সবাইকে নিয়ে বসবে এবং আলোচনা করবেন। সবাইকে নিয়ে চলুক।’

নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে সুব্রত চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আর আবু সাইয়িদ বলেন, তিনি তালিকা না দেখে কিছু বলবেন না।