Thank you for trying Sticky AMP!!

মাহবুব তালুকদার সাংবিধানিক পদে থেকে প্রকাশ্যে কথা বলছেন কেন, প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

মোহাম্মদ নাসিম। ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবিধানিক পদে আছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে কেউ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।

আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘তিনি (মাহবুব তালুকদার) খুব অন্যায় করছেন। শপথ নিয়ে সাংবিধানিক পদ নিয়ে এ ধরনের কথা প্রকাশ্যে তিনি বলছেন কেন? যদি আলোচনায় কিছু হয়েও থাকে, আলোচনা হতেই পারে। তার মানে এই নয়, প্রকাশ্যে আপনি এসে বলবেন। অন্যায় করছেন, অযৌক্তিক কাজ করছেন। এ ধরনের পদে থেকে এ ধরনের আচরণ তাঁর করা উচিত না। অন্যথায় তাঁর পদটা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’

ডা. জাফরুল্লাহর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, টক শোতে ডা. জাফরুল্লাহ সেনাবাহিনীর নামে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। তিনি বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ১৪ দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সংসদ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সরকার দেশ পরিচালনা করবে। এটা সংবিধান নির্ধারিত। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত নতুন সাথি নিয়ে অযৌক্তিক দাবি তুলে অশুভ চক্রান্ত শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা একটি অভিলাষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, ‘১/১১-এর সময় দেশবাসী ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা দেখেছে। তিনি তখনকার অনির্বাচিত সরকার সম্পর্কে বলেছিলেন, “এই সরকার যত দিন ইচ্ছা চালিয়ে যেতে পারবে।” এই হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।’

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মইনুল হোসেন প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, মইনুল হোসেন ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোস্তাককে নিয়ে ডেমোক্রেটিক লীগ করেছিলেন। এই মইনুল হোসেন ১/১১ পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। তিনিই খালেদা জিয়ার নামে সব মামলা দিয়েছিলেন। এখন সেই মইনুল হোসেন বিএনপি-জামায়াতের সব হয়ে গেছেন। এরা পরীক্ষিত গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। এদের কথায় দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তাঁরা নির্বাচনে আসুন, তাঁদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু অযৌক্তিক দাবি আদায়ের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাঁদের প্রতিহত করবে। নির্বাচন যথাসময়েই হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না।

জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, গণ আজাদী লীগের এস কে সিকদার প্রমুখ।