Thank you for trying Sticky AMP!!

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক আছে: খালেদা জিয়া

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া এই মন্তব্য করেন। আসন্ন পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পৌর নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি ৮০ শতাংশ ভোট পাবে। নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব ও মেরুদণ্ডহীন। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনের আচরণবিধি ভাঙছেন, শেখ হাসিনা নিজেও ভেঙেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেনাবাহিনী দেবেন না।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচন ছিনতাই করে আওয়ামী লীগ দেখাবে, ধানের শীষের পক্ষে জনগণ নেই। সব মানুষ নৌকার পক্ষে। কিন্তু নৌকা যে ডুবে গেছে, তা তারা ভুলে গেছে। তিনি সবাইকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত মেয়রদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের অনেককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আবার অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে পুরে সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সবাইকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে সত্যিকারে যারা সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছিল বিএনপিও তাদের বিচার চায়। কিন্তু সেটি হতে হবে আন্তর্জাতিক মানসম্মত, স্বচ্ছ।
আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মান দেয়নি—এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নিজের ঘরে যুদ্ধাপারাধী পালছে, মন্ত্রী বানাচ্ছে। তাদের আত্মীয়স্বজনদের অনেকে রাজাকার। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া দাবি করেন, ২০০৯ সালে বিডিআরে বিদ্রোহের বিষয়টি শেখ হাসিনা এবং সে সময়ের সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ জানতেন। কিন্তু তারপরও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।