Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোরে তরুণ লীগ নেতা খুন: ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে এক পক্ষ

হত্যা

মনিরুল হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যশোর সদর উপজেলা ও শহর যুবলীগের নেতারা। বুধবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।

নিহত মনিরুল ইসলাম যশোর জেলা তরুণ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৩ মে রাতে দুর্বৃত্তদের বোমার আঘাতে তিনি মারা যান

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যশোর শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মনিরুল আমাদের দুঃসময়ের কর্মী। তাঁর হত্যাকাণ্ডে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে মুহূর্তে আমরা তাঁর খুনিদের আটকে সোচ্চার, ঠিক তখন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ সংগঠনের সাহসী যোদ্ধা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব রহমান, সদর যুবলীগের সদস্য সাইদুর রহমান রিপনসহ ১১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের চক্রান্ত করেছে।’


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন, সহসভাপতি সৈয়দ মেহেদি হাসান, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদস্য জাহিদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল কবির বিজু, সদর যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক বোস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, মনিরুল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে খুন হয়েছেন। ইজিবাইক সিন্ডিকেটের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বসহ স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার মূলত এই দ্বন্দ্বের কারণ।

গত রোববার রাত ১২টার দিকে যশোর শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে দুর্বৃত্তদের ছোড়া বোমা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মনিরুল। এ সময় গুরুতর জখম হন যুবলীগ কর্মী সন্তোষ ঘোষ।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক সুকুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। একই দিন নিহত মনিরুলের মা যশোর বিচারিক আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১১ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে স্থানীয় শাহিদুল নামে এক যুবকের সঙ্গে মনিরুলের দ্বন্দ্ব ছিল। এ ঘটনায় নিহত মনিরুল ও শাহিদুল পাল্টাপাল্টি মামলাও করেছিল। ওই দ্বন্দ্বটা ধরে মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে শাহিদুল পলাতক।