Thank you for trying Sticky AMP!!

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে হরতাল

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে যুবলীগের ডাকা হরতাল চলাকালে পিকেটাররা টায়ার জ্বালায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে জ্বলন্ত টায়ার সরিয়ে ফেলে। হ্যাপির মোড়, রাঙামাটি ৭ ডিসেম্বর। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

পিকেটিং, দুটি জায়গায় টায়ার জ্বালানো, মিছিল—এসবের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে আজ বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতার হত্যার প্রতিবাদে হরতাল পালিতে হয়েছে।

দুর্বৃত্তদের গুলিতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় যুবলীগ নেতা অরবিন্দু চাকমা (৪০) নিহত হন গত মঙ্গলবার। তিনি উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও জুরাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আজ সেই হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতালে পুলিশ কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। সকাল থেকে স্থানীয় ও দূরপাল্লার সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলেনি। যানচলাচল বন্ধ থাকায় শত শত মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। রাঙামাটি শহরে স্থানীয় যানবাহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালতে আসতে চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। শহরের বনরুপা বাজার, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকাল সাতটা থেকে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রিজার্ভ বাজার, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, কাঁঠালতলী, বনরুপা, হ্যাপীর মোড়, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সড়ক এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয়। এদিকে পুলিশও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয়। এ ছাড়া শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুই থেকে তিনটি দল করে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
সকাল নয়টায় শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থা ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পিকেটিং করছেন। শহরের হ্যাপীর মোড় এলাকা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করছেন নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তা নিভিয়ে দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।