Thank you for trying Sticky AMP!!

সাহারাকে চায় না স্থানীয় আ.লীগ

সাহারা খাতুন

ঢাকা–১৮ আসনে (উত্তরা) ক্ষমতাসীন দল বা জোট থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ সাহারা খাতুন দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাসহ বড় অংশ তাঁকে চাচ্ছেন না। বরং তাঁরা জোটের প্রার্থীদের মাঠে থাকার জন্য উৎ​সাহ দিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় নেতাদের দাবি, সাহারা খাতুন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাউকে ডাকেন না। এই আসনে মহাজোট থেকে কাউকে দেওয়া হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তাঁর পক্ষে কাজ করবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাহারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা না চাইলে কী করার আছে। চাইতে নাও পারে।’

এই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায়​ এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টির (জাপা) কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তবে মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জি এম কাদের এই আসনের দাবি থেকে সরে এসেছেন বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। এই সাক্ষাতের সময় সাহারা খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।

জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি লালমনিরহাট-৩ আসনে নির্বাচন করবেন।

এদিকে ১৪–দলীয় জোটের শরিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি মাদারীপুর-৩ অথবা ঢাকা-১৮–তে মনোনয়ন চান। তবে মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবাহান (গোলাপ), বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাবেক সাংসদ ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনও মনোনয়ন চান। তাই শেখ শহীদুল ইসলাম ঢাকা–১৮ আসনে আলোচনায় এসেছেন।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের বড় একটি অংশ এখনো জি এম কাদেরকে ঢাকা–১৮–তে থাকার অনুরোধ করেছেন। তাঁরা বর্তমান সাংসদ ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনকে চাচ্ছেন না।

উত্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ২০০৮ সালে সাহারা খাতুন সাংসদ হওয়ার পর বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক।

তোফাজ্জল হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাহারা আপা ভালো মানুষ। তবে আমার জানামতে, সাহারা আপাকে কেউ চায় না।’ তিনি বলেন, ‘ওনার বয়স হয়েছে। একটা লোক এত দিন সাংসদ থাকলে অন্যরা কী করবে?’ তিনি বলেন, সাহারা খাতুনকে ছাড়া আওয়ামী লীগ যদি
মহাজোটের কাউকে দেয়, তাহলে তাঁদের জন্যও তাঁরা খাটতে রাজি আছেন।

তোফাজ্জল নিজেও এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানালেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের আরও ১৩ জন নেতা এ আসনে মনোনয়ন চান।