স্থানীয় নির্বাচনে 'সখ্য' থাকছে না আ. লীগ-জাপার
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাঁদের ‘নির্বাচনী মিত্র’ এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে কোনো সমঝোতা হচ্ছে না। দুটি দলই আলাদাভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেবে। দল দুটির শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা। আর জাতীয় পার্টি এখন বিরোধী দল। সুতরাং তাদের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন করবে না। তারা তাদের মতো, আমরা আমাদের মতো নির্বাচন করব।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির তিনজন নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁরা ‘প্রকৃত বিরোধী দল’ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। তাঁদের দলের চেয়ারম্যান এরশাদও বিভিন্ন সভায় প্রকৃত বিরোধী দল হওয়ার আভাস দিয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এরশাদের অবস্থান পুরোপুরি সরকারের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির বিষয়ে আমাদের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি। কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি উঠতে পারে। তবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে। সুতরাং সারা দেশে প্রার্থী দিয়ে তাদের নির্বাচন করার অধিকার আছে।’
একই কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীরও। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। কার সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, তা নিশ্চিত হয়নি। তবে বিরোধী দল হওয়ায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জোট হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কোনো সমঝোতায় যাব না। নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ। যার যেখানে ভালো প্রার্থী, তারাই সেখানে নির্বাচনে যাবে।’ তিনি বলেন, সারা দেশে জাপা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেন, গত ৯ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। জাপা এককভাবেই নির্বাচন করবেন বলে তিনি নেতা-কর্মীদের বলেছেন।
আরও পড়ুন
-
আগামীকালও ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় পালা বন্ধ হচ্ছে, শাখা ক্যাম্পাস হবে আলাদা প্রতিষ্ঠান
-
ট্রাম্প তবুও বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে, সিএনএনের জরিপ