Thank you for trying Sticky AMP!!

'আ.লীগের শঙ্কা থাকবেই বা কেন?'

রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের শঙ্কা থাকবেই বা কেন? নির্বাচনের ফলাফল যদি আগেই বাক্সে বন্দী করে রাখা হয়, তাহলে তো আওয়ামী লীগের শঙ্কা থাকার কথা নয়। তাদের তো আর প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে হচ্ছে না, তারা করবেও না। এ কারণেই বলেছে তাদের শঙ্কা নেই।

‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো শঙ্কা নেই, উন্নয়ন দিয়েই দেশবাসীর মন জয় করেছে দল। তাই আগামী নির্বাচনে বিজয় কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।’ গত বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার বিদ্যা ভালো করেই জানে। আওয়ামী লীগ আত্মসম্মানহীন প্রতারক, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইশতেহার। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় মনে হচ্ছে, তাঁদের মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত। কীভাবে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন মঞ্চস্থ করা যায়, সেই চক্রান্তমূলক আয়োজনে তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাজানো জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া সেই মহাপরিকল্পনারই অংশ। তিনি আরও বলেন, পিঠা ভাগের মতো সংসদীয় আসনের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নিজেদের কবজায় রেখে বাকি স্বল্পসংখ্যক আসন অন্য দলকে ভাগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাই নির্বাচনহীন একদলীয় শাসনের নমুনা। ওবায়দুল কাদেরের কথায় যে ‘আনুষ্ঠানিকতা’র কথা বলা হয়েছে, সেটা কি তারই আলামত?

রিজভী বলেন, ‘আসন ভাগাভাগির বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতই ভাগাভাগি করেন না কেন, বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন এ দেশের জনগণ হতে দেবে না। ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন আর এ দেশে করতে দেওয়া হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম, বেলাল আহমদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।