Thank you for trying Sticky AMP!!

'রাজাকার তোষণে বিতর্কিত সাংসদ রণজিত'

রণজিত কুমার রায়

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-সদরের বসুন্দিয়া) আসনে ১৪ দলের পক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ওয়ার্কার্স পার্টির যশোর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

দাবির পক্ষে বলা হয়েছে, আসনের বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রণজিত কুমার রায় দুর্নীতি, অনিয়ম, গণহয়রানি, রাজাকার তোষণে বিতর্কিত ব্যক্তি। এলাকার উন্নয়নে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ওয়ার্কার্স পার্টির যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, যশোর-৪ সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য জনগণের মৌলিক সমস্যা সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখেন না। উপরন্তু তিনি সংকীর্ণ ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সব ধরনের গণস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করেছেন। দুর্নীতি, অর্থ–বাণিজ্য, অনিয়ম ও গণহয়রানি করে নিজের আখের গুছিয়েছেন, যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাঁর গণবিরোধী ভূমিকার ফিরিস্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তুলে ধরেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে অবহিত করে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্যও তাঁরা অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে যশোর-৪ আসনের অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি সংকটের দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাংসদ রণজিত রায়ের কোনো ভূমিকা না থাকায় অঞ্চলটি অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। এ কারণে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে মহাজোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইকবাল কবির জাহিদকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির আসন ভাগাভাগি হয়েছে। আমরা পাঁচটি আসন ইতিমধ্যে পেয়েছি। আরও তিনটি আসনের জন্য দেনদরবার চলছে। স্থানীয় জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর-৪ আসনটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা আশাবাদী, আওয়ামী লীগ আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। যদি দাবি বিবেচনা না করে, তাহলে ৯ ডিসেম্বর আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেব যে নিজস্ব হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে যাব কি না।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইসরারুল হক, বৈকুণ্ঠবিহারী রায়, নাজিম উদ্দিন, জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুব মৈত্রীর জেলা সভাপতি অনুপ কুমার পিন্টু, ছাত্রমৈত্রীর জেলা সভাপতি শ্যামল শর্মা প্রমুখ।

সম্প্রতি যশোর জেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ আসনটি দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গতকাল রাতে মুঠোফোনে সাংসদ রণজিত কুমার
রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’