Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোটে মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য

নির্বাচন কমিশন ভবন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবেন বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য। এর মধ্যে থাকবেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা।

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

আজ সোমবার নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সেখানে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন, তা জানানো হয়। ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর মোট ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য।

বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, ভোটের মাঠে আনসার ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ (র‍্যাবসহ) ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড ২ হাজার ৩৫৫ জন, বিজিবির সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাহিনীগুলো জনবলের ভিত্তিতে একটি চাহিদা দিয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ জানান, কোন বাহিনী কত দিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেটা পরে সিদ্ধান্ত হবে। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।

ইসি সূত্র জানায়, এর আগে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের পক্ষ থেকে মোট ১ হাজার ৭০ কোটি  টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। তবে সেটা কমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পেছনে মোট ব্যয় ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা হতে পারে। সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় দাঁড়াবে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মতো। অবশ্য সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ব্যয় এখানে ধরা নেই। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলে এই ব্যয় আরও বাড়বে।