Thank you for trying Sticky AMP!!

আমুকে ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি

আমির হোসেন আমু

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে ঝালকাঠি-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেন আমুর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাঁর প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

আজ শনিবার আমির হোসেন আমুর কাছে এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে ইসি সচিবালয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি এ কথা জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ঝালকাঠি জেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস’ পালন উপলক্ষে নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর সকালে এবং ঝালকাঠি পৌরসভায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেলে সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে আসন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আমির হোসেন আমুকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এফ এম মাহমুদ (কিরন) স্বাক্ষরিত শিল্প মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে একটি ভ্রমণসূচি জারি করা হয়।

ওই ভ্রমণসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আমির হোসেন আমুকে জানিয়েছিলেন যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। বেশিসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসভায় পরিণত হতে পারে এবং ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’–এর লঙ্ঘন হতে পারে। আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরনের জনসমাগম গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এরপরও তিনি জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষে ভোট চেয়েছেন, যার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এটি আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী।

ইসির চিঠিতে বলা হয়, আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমির হোসেন আমুকে ইতিপূর্বে অবহিত করা সত্ত্বেও ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের তিন সপ্তাহের আগে নির্বাচনী প্রচারণাসহ আচরণবিধি পরিপন্থী কার্যক্রমের জন্য কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ১৫ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।