Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ১৭ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে

ওবায়দুল কাদের সাহেব বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশি অবান্তর কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার যে তালিকা চেয়েছেন, তা সরকারের কাছেই আছে।  

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ১২ বছর পূরণ হওয়ার দিনে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রিজভী বলেন, বিনা ভোটের সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন ও অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। সরকার এর কোনো জবাব দিতে পারেনি।

রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তো তালিকা দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আর তালিকা তো আপনাদের [সরকার] কাছেই রয়েছে। আইন, আদালত, থানা-পুলিশ তো আপনাদের কবজায়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন।’

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানী বনানীর ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীকে তুলে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম, টিপাইমুখ বাঁধ এবং সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে ওঠা গণ–আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি–বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিলেন।

রিজভী বলেন, সমাজে মানুষের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ। তাঁদের মূল লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা।

সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে’ সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের জামিন না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি আবদুল কাদির ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা অভিহিত করে তা প্রত্যাহার ও সাজা বাতিলের আহ্বান জানান।