Thank you for trying Sticky AMP!!

বাকি ৯৪ কেন্দ্রের প্রতিবেদন, আরেকটু অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আরও ৯৪টি কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কমিটিকে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন। সিসি ক্যামেরা দেখে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এরপর গাইবান্ধা উপনির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেন তিনি। এ জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে বলেছেন সিইসি।

আজ শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।

ব্যাপক অনিয়মের কথা বলে ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ মাঝপথে বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গাইবান্ধা  উপনির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন তাঁরা পেয়েছেন, বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করতে বলা হয়েছে আগের কমিটিকে।

Also Read: গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হবে: ইসি আলমগীর

৫১ কেন্দ্রের তদন্তে কমিটি কী তথ্য পেয়েছে, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সিইসি।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন। ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। খণ্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছি, পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।’

আজ ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি সিসিটিভির মাধ্যমে ঢাকায় বসে পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। কোনো ধরনের অনিয়ম না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। সকাল আটটা থেকে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন চলছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট হবে। স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এ আসনের সব কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১ হাজার ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট দেখছেন সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।

Also Read: গাইবান্ধা–৫ আসনে উপনির্বাচনের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল

দুপুরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনিয়ম একেবারেই দেখছি না। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুর উপনির্বাচন হচ্ছে।’ তবে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিইসি আরও বলেন, ‘যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামেরায় দেখলাম, শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট করা নতুন একটি সংযোজন। যেটা নিয়ন্ত্রণ ও ইলেকটোরাল গভরন্যান্সকে আরও বিস্তৃত করবে।’