Thank you for trying Sticky AMP!!

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনস্থলে দলের দুই পক্ষের মারামারি। সোমবার দুপুরে শহরের বিএডিসি মাঠে

এবার নতুন সভাপতি-সম্পাদকসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মঞ্চে রেখে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিত রায়সহ ৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেয়র বিশ্বজিত নতুন সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের ছোট ভাই।

আজ রোববার সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৈত্রী ভট্টাচার্যের আদালতে মামলাটি করেন দিরাই পৌর শহরের চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা যুতিমা মিয়া।

আদালতের বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের জন্য দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বশির উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার আইনে আদালতে আরেকটি মামলা করেছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ ৮১ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলাটিও এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত সোমবার দুপুরে দিরাই সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পর মোশাররফ মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসে। এ সময় মোশাররফ মিয়ার মঞ্চে ওঠা নিয়ে হাতাহাতি এবং পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ৫০ জন আহত হন। মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্য অতিথিরা প্লাস্টিকের চেয়ারকে ঢাল বানিয়ে ঢিল থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। এরপরও কারও কারও শরীরে ঢিল লাগে। তখন মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁর সমর্থকদের থামাতে বলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

সংঘর্ষের পর দুই পক্ষ একে অন্যকে দোষারোপ করে। ওই দিন আর কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এক দিন পর ১৬ নভেম্বর জেলা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সভাপতি কামাল উদ্দিন একেবারে নতুন হলেও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় আগের কমিটিতেও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।