Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ঢাকা, ২২ জানুয়ারি

গুলি-টিয়ার শেলে হয়তো ক্ষমতায় থাকা যাবে, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যাবে না: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। আজ এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। সরকার নিজেও বুঝতে পারছে না, কখন তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন। ‘নব্য বাকশালের মূলোৎপাটনে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে মঈন খান বলেন, আজ তারা বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তাদের এই চেষ্টা কোনো দিন সফল হবে না। বন্দুক, গুলি, রাবার বুলেট, জলকামান, টিয়ার শেল ও গ্রেনেড দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে হয়তো, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আজকেই হুমকি এসেছে, যদি আমরা রাজপথে কালো পতাকা প্রদর্শন করি, তাহলে নাকি অক্টোবরের মতো আমাদের ওপর আবার ক্র্যাকডাউন করা হবে।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ইউট্যাবের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, যিনি নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত, তাঁকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্ধু বদলানো যায় কিন্তু প্রতিবেশী বদলানো যায় না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শের মোহাম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামশেদ আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আতাউর রহমান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিনূর রহমান, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।