Thank you for trying Sticky AMP!!

এত আবেগ, এত কান্না!

তেরেসোেপালিসে অনুশীলনে নিজেদের আরও ঝালিয়ে নিচ্ছেন নেইমার-আলভেজরা (বাঁয়ে)। সাও পাওলোর কতিয়ায় সতীর্থ হুয়ান জুনিগার সঙ্গে কি ব্রাজিল-বধের পরিকল্পনাই করছিলেন হামেস রদ্রিগেজ? l এএফপি

চিলির গঞ্জালো হারার পেনাল্টিটি গোলের ঠিকানা খুঁজে পেল না। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে পড়লেন ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়। নেইমার কাঁদছেন, থিয়াগো সিলভারও দুচোখ দিয়ে লোনা পানির স্রোত বেয়ে পড়ছে । ডেভিড লুইজ শূন্যে তাকিয়ে নিজেকে সংবরণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রাণান্ত। পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া হুলিও সিজারও কাঁদছেন হু হু করে। ভাগ্যের পরশপাথরের ছোঁয়ায় পাওয়া ওই জয়ই বাঁচিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন। এই আবেগ আর কান্নাই এখন সমালোচনার কারণ। এত আবেগাক্রান্ত কেন হবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা?
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে জাতীয় সংগীত নেইমারদের চোখে নামায় জলের ধারা। তা নিয়ে ব্রাজিলের গণমাধ্যমগুলো দেশাত্মবোধের আবেগকে বাহবা দিয়ে শব্দের পর শব্দ গেঁথেছে। সেই গণমাধ্যমই এখন প্রশ্ন তুলেছে দলের মানসিক শক্তি নিয়ে। এই দল বিশ্বকাপ জিততে পারবে কি না, তা নিয়েও তারা সন্দিহান। শুধুই কি গণমাধ্যম, ব্রাজিল কিংবদন্তিরাও জানাচ্ছেন দল নিয়ে তাঁদের উৎকণ্ঠার কথা।
ব্রাজিল কিংবদন্তি জিকো তো বলেই দিলেন, ‘মাঠে খেলোয়াড়দের মনোযোগে ঘাটতি আছে। অনেকেই খুব সহজেই আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। কয়েকজন তো আছে মাঠে নিজের খেলাটাই ভুলে যাচ্ছে। নিজেদের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।’ ১৯৭০-এর বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল অধিনায়ক কার্লোস আলবার্তো রীতিমতো বিরক্ত, ‘ওরা জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় কাঁদে, চোট পেলে কাঁদে, পেনাল্টির সময় কাঁদে...এসব কান্না বন্ধ করতে হবে! অনেক হয়েছে। ঘরের মাটিতে খেলায় তারা নাকি চাপের মুখে আছে। কিন্তু তাদের তো আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা দরকার ছিল। তারা তো জানতই, এসবের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হবে। দলের জন্য মনোবিদ কোথায়?’
মনোবিদ রেগিনা ব্রান্দাওকে তাই ব্রাজিলের অনুশীলনে ডেকে পাঠানো হলো হুট করেই। পথ্য কী ছিল তা অবশ্য জানা গেল না। ব্রান্দাও সেভাবে মুখ খোলেননি, ‘আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলি। একে অপরের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ, ফোনে কথা বলি। ই-মেইলে যোগাযোগ রাখি।’
মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। তবে খেলায় আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়া নিয়ে পূর্বসূরিদের মন্তব্য মানতে পারছেন না নেইমার, ‘শুধু আমরাই না, ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবাই-ই আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন, মনোবিদের সাহায্য নেয়।’ হুলিও সিজারের সোজাসাপটা জবাব, ‘আমি যে খুব আবেগপ্রবণ সেটি কখনোই গোপন করিনি।’
নেইমাররা চাইলে ১৩ জুলাই মারাকানার ফাইনাল পর্যন্ত অশ্রু জমিয়ে রাখতে পারেন। সেদিন পুরো ব্রাজিলকে সঙ্গে নিয়েই না হয় আনন্দাশ্রু বর্ষণ করা যাবে! এএফপি।