Thank you for trying Sticky AMP!!

পাঁচজনকে কাটিয়ে মেসির চোখ ধাঁধানো গোল

এভাবে রক্ষণের দেয়াল তুলেও আটকানো যায়নি মেসিকে!

চোখ ধাঁধানো সব গোল করার জন্য কি গেটাফেকেই বেছে নেন লিওনেল মেসি? ২০০৭ সালে এই কোপা ডেল রেতেই গেটাফের বিপক্ষে ছয়জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যে গোলটা করেছিলেন, সেটা এখনো মুগ্ধ করে ফুটবলপ্রেমীদের। সেই গোলটা করেই তিনি প্রমাণ করেছিলেন ‘নতুন ম্যারাডোনা’ তকমার যথার্থতা। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার করা সেই শতাব্দী-সেরা গোলটির সঙ্গে অনেক মিলই খুঁজে পাওয়া যায় মেসির ২০০৭ সালের গোলটার। গতকাল আবার গেটাফের বিপক্ষেই আরও একটি দৃষ্টিনন্দন গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ইনজুরি কাটিয়ে যে মেসি আরও ভয়ংকর রূপেই মাঠে ফিরবেন এমন কথা জোর দিয়েই বলছিলেন তাঁর বার্সেলোনা সতীর্থরা। কথাটা যে মোটেও মিথ্যা ছিল না, সেটাই যেন প্রমাণ করে চলেছেন মেসি। এ বছরের শুরুতে ন্যু ক্যাম্পে ফেরার পর প্রথম ম্যাচেই মাঠে নেমে করেছিলেন জোড়া গোল। কোপা ডেল রের সেই ম্যাচটা ছিল গেটাফের বিপক্ষে। গতকালও গেটাফের জালে দুইবার বল জড়িয়েছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। গোল তো মেসি প্রায় প্রতি ম্যাচেই করেন। কিন্তু গতকাল গেটাফের বিপক্ষে ৬৩ মিনিটে তাঁর করা দ্বিতীয় গোলটাও হয়তো দীর্ঘদিনই মনে রাখবেন মেসি ভক্তরা।

গেটাফের ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন মেসি। বল পেয়েই শুরু করেন নিজের স্বভাবসুলভ দ্রুতগতির দৌড়। কড়া ট্যাকল করেও তাঁকে আটকাতে পারেননি গেটাফের এক ডিফেন্ডার। প্রায় মাটিতে পড়তে পড়তেও নিজেকে সামলে নিয়ে চমত্কারভাবে এগিয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর আরও তিনজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েছেন পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। সবশেষ বাধা গোলরক্ষককেও দুর্দান্তভাবে ফাঁকি দিয়ে কঠিন একটা অ্যাঙ্গেল থেকে মাপা শটে বলটা ঠিকই জালে পাঠিয়েছেন বার্সেলোনার প্রাণভোমরা।

ম্যাচ শেষে মেসিকে তাই ভীষণ তৃপ্ত দেখাল। ব্যালন ডি’অর হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপটা যে ২০১৪ সালে ঘুচিয়েই দিতে চাইবেন, তেমন ইঙ্গিত বছরের শুরু থেকেই দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এমন গোলের পরও মেসি বললেন, পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে, ‘আমি এখন অনেকটাই ভালো আছি। কিন্তু এখনো আমার কিছুটা ঘাটতি আছে। নিজের সেরা ফর্ম ও ছন্দে ফিরতে আমার আরও কিছু সময় লাগবে।’

পুরোপুরি ছন্দে না ফিরেই এমন গোল। ছন্দটা পেয়ে গেলে কী হবে!

গোলটির ভিডিও দেখুন