Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রীতি ম্যাচে এখন প্রীত বাফুফে

কাল বিমানবন্দরে ডি ক্রুইফ

আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে খেলতেই উন্নতি—প্রতিষ্ঠিত এই সত্যটা উপলব্ধি করেই গতকাল গোয়া থেকে ঢাকা ফিরল জাতীয় ফুটবল দল।
সঙ্গী হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্নও। ভারতের সঙ্গে ৫ মার্চের প্রীতি ম্যাচের পর আবার কবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ?
উত্তর জানা নেই। বাফুফে অতীতে পরিকল্পনা করে জাতীয় দলের জন্য প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ গত ১১ বছরে খেলল সব মিলিয়ে ছয়টি ম্যাচ! সাম্প্রতিক সময়ে এমনও বছর গেছে, বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও পায়নি। ফিফা-এএফসির টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে দু-চারটি ম্যাচ, দুই বছর পর সাফে দু-তিনটি—এই হলো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার উৎস।
প্রীতি ম্যাচ খেলার বর্তমান ধারাটার শুরু বছর দুয়েক হলো। ২০১২ সালে নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এবার ভারতে গিয়ে ম্যাচ খেলা হলো। ৫ মার্চ বিশ্বব্যাপী ফিফা প্রীতি ম্যাচের দিনে গোয়ায় গিয়ে ম্যাচ খেলতে ভারত আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশকে। আর্থিক অনটনের মধ্যে বাফুফে প্রস্তাবটা গ্রহণ করে ভালো একটা কাজ করেছে।
দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন বুঝতে পারছে, জাতীয় দলকে আরও ম্যাচ দিতে হবে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এখন থেকে সব ফিফা প্রীতি ম্যাচই খেলতে চাইব আমরা। সুযোগ এলে “না” বলব না। অবশ্যই খেলব।’ তবে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা আছে বলে মনে হচ্ছে না। সালাউদ্দিনের কথা, ‘সব দেশেই তো ঘরোয়া লিগ চলছে, কীভাবে ম্যাচ খেলব?’
‘আগামী মাসে ঢাকায় ম্যাচ খেলা হতে পারে আফগানিস্তানের সঙ্গে’—এমন আশা নিয়েই অবশ্য গোয়া থেকে ফিরেছেন ফুটবলাররা। অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য বললেন, ‘আমি তো টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে শুনেছি, আগামী মাসে নাকি আফগানিস্তানকে ঢাকায় আনা হতে পারে।’ একই তথ্য জানালেন অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও।
তবে বাফুফের এমন কোনো উদ্যোগ নেই। সালাউদ্দিন বলছেন, ‘আফগানিস্তানকে আনতে পারলে তো ভালো, তবে এমন কিছু ভাবছি না।’ মধ্যপ্রাচ্যে খেলতে যাওয়ার কথা বলছেন কেউ কেউ, যেখানে অনেক স্বদেশি দর্শক পাবে বাংলাদেশ। ফুটবলারদের অভিন্ন কথা, ৫ মার্চ নেহরু স্টেডিয়ামে দর্শক সমর্থন পেলে ২-২ নয়, বাংলাদেশ জিতেই বেরিয়ে আসে।
ভারতের সঙ্গে টানা দুই ড্র বাংলাদেশের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অনেক। প্রসঙ্গটা টেনে বিপ্লব বললেন, ‘আমরা বছরে অন্তত ৭-৮টি প্রীতি ম্যাচ খেললে আরও উন্নতি হতে বাধ্য। অনেক দিন পর ম্যাচ খেলতে যাই বলেই ফল খারাপ হয়।’ মামুনুলের দাবি, ‘মাসে একটা করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা দরকার আমাদের।’ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের বিশ্বাস, ‘বেশি বেশি ম্যাচ খেললে এই ছেলেরা অনেক দূর যাবে।’
বল এখন বাফুফের কোর্টে।