Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের পতাকা চেনানোর মঞ্চ যখন আর্জেন্টিনা!

এভাবেই আকাশ ছুঁতে চান অর্ণব। তার সীমানা অনেক দূরে হলেও ঠিকানা পেয়ে গিয়েছে সে। সংগৃহীত ছবি
>

জাপানে এশিয়ান এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৯৯ স্কোর করে রুপা জেতেন অর্ণব। স্কোরটা ০.৫০ বাড়লেই জিততেন সোনা। একটুর জন্য সোনা জিততে না পারার কষ্টটা থাকলেও রুপা জয় আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠেয় যুব অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ করে দিয়েছে তাঁকে। মেসির দেশে নিজেকে এবং নিজের দেশকে চেনানোর মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি 

তুরস্কের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের শুটাররা। একই রকমের পোশাক (ট্রাক স্যুট) গায়ে দিয়ে এক সঙ্গে অনেকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে এক উৎসাহীর প্রশ্ন, ‘কোথা থেকে এসেছেন আপনারা?’ ট্র্যাকসুটের ওপর লাল-সবুজের পতাকা দেখিয়ে বাংলাদেশের উদীয়মান এক শুটার জবাব দিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি।’ প্রশ্নকর্তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশ আবার কোথায়?’

এই না চেনার কষ্ট বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন শুটার অর্ণব শারার। এর পর থেকেই তাঁর জিদ, যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে চেনাবেন তিনি। উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন অক্টোবরে আর্জেন্টিনায় শুরু হতে যাওয়া যুব অলিম্পিক গেমস। যুবাদের বিশ্ব আসরে যোগ্যতা প্রমাণ করেই খেলার জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আর এই অর্জনটিই গতকাল অর্ণবের হাতে তুলে দিয়েছে রুপচাঁদা-প্রথম আলো বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রীড়াবিদের খেতাব।

গত ডিসেম্বরে জাপানে এশিয়ান এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৯৯ স্কোর করে রুপা জেতেন অর্ণব। স্কোরটা ০.৫০ বাড়লেই জিততেন সোনা। একটুর জন্য সোনা জিততে না পারার কষ্টটা থাকলেও আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠেয় যুব অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ করে দিয়েছে এই রুপা। মেসির দেশকেই নিজেকে এবং নিজের দেশকে চেনানোর মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি, ‘যুব অলিম্পিকে ভালো কিছু করা অবশ্যই কঠিন। কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দিচ্ছি না। ভালো কিছু করার জন্যই আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সেখানে আমি বাংলাদেশকে চেনাতে চায়। ভালো কিছু করলে বাংলাদেশকে মানুষ অবশ্যই চিনবে।’ গতকাল রুপচাঁদা-প্রথম আলো পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে নিজের দৃঢ় সংকল্পের কথা জানালেন তিনি।

রুপচাঁদা-প্রথম আলো বর্ষসেরা উদীয়মান পুরস্কার হাতে অর্ণব শারার। ছবি প্রথম আলো

গতকাল পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন তাঁর গুরু শুটার আসিফ হোসেনের হাত থেকে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে গুরু আসিফেরই জাতীয় রেকর্ড ৫৯৫ স্কোর পেরিয়ে গত বছর নতুন রেকর্ড (৫৯৯) গড়েছিলেন অর্ণব। নিজের শিষ্য সম্পর্কে ২০০৩ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী শুটারের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘অর্ণবের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। শুধু ফোকাসটা শুটিংয়ে ধরে রাখতে হবে। যুব অলিম্পিকে পদকের নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পৌঁছানোর ক্ষমতা অর্ণবের আছে।’

২০০২ সালে কমনওয়েলথে সোনা জিতে বাংলাদেশকে অনেক মানুষের কাছেই পৌঁছে দিয়েছিলেন আসিফ। শিষ্য যুব অলিম্পিকে অমন কিছু করতে পারলেই তো বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের নাম।

উদীয়মান অর্ণবের কীর্তি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন