Thank you for trying Sticky AMP!!

ভ্রুম ভ্রুম! দেশের প্রেসিডেন্টের মোটরসাইকেল স্টান্ট!

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোটরসাইকেলের স্টান্ট করে দেখালেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। ছবি: রয়টার্স

রানিকে দিয়ে অভিনয় করানো! ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসাধ্যই সাধন করেছিলেন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যানি বয়েল। রানিকে বিমান থেকে ঝাঁপও দিতে হয়েছিল লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে নামার জন্য! লাফটা অবশ্য দিয়েছিলেন কোনো এক স্টান্টম্যান।

চমক কম উপহার দিল না পরশু হয়ে যাওয়া এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও। চমকে দিলেন আয়োজক ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। রীতিমতো মোটরসাইকেল চালিয়ে স্টেডিয়ামে এলেন তিনি। লাইভ অবশ্যই নয়, প্রেসিডেন্টের বাইকে চেপে স্টেডিয়ামে আসার দৃশ্যের ভিডিওই দেখানো হলো। প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে মোটর গাড়িতেই রওনা দিয়েছিলেন উইদোদো। কিন্তু রাজধানীর জাকার্তার কুখ্যাত যানজটের কারণে গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেলে চাপতে হয় তাঁকে। এরপর অলিগলি পেরিয়ে, কখনো অন্য গাড়ির ওপর দিয়ে লাফ দিয়েও এগোতে দেখা গেল প্রেসিডেন্টকে।

ফল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে এখন আলোচনা শুধুই উইদোদোকে নিয়ে। বেশির ভাগ ইন্দোনেশিয়ানই গর্বিত তাঁদের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে, আছে সমালোচনাও। প্রেসিডেন্ট কীভাবে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালান, সমালোচনাটা তা নিয়েই। ভিডিও পুরোটা অবশ্য উইদোদো করেননি, কিছু কিছু অংশ স্টান্টম্যানের করা।

তাতে অবশ্য ইন্দোনেশিয়ানদের কিছু আসে যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় মেতেছেন তাঁরা। টুইটারে একজন তো উইদোদোকে তুলনা করেছেন হলিউড তারকা টম ক্রুজের সঙ্গে, ‘এটা ইন্দোনেশিয়াতেই সম্ভব। আমাদের প্রেসিডেন্টকে মিশন ইমপসিবল সিনেমার টম ক্রুজের মতো লেগেছে। শাবাশ জোকোউয়ি। আপনিই সেরা।’ জোকোউয়ি উইদোদোর ডাকনাম।

কেউ কেউ অবশ্য প্রেসিডেন্টকে দুষছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন দুর্ঘটনা ঘটলে বা জঙ্গি হামলা হলে কী হতো। বিরোধী রাজনীতিকেরা বলছেন, নানা সমস্যা থেকে জাতির মনোযোগ অন্য দিকে সরাতেই চমকের আশ্রয় নিয়েছেন উইদোদো।