Thank you for trying Sticky AMP!!

সম্প্রচার স্বত্ব পেল গাজী টিভি

দরপত্রে অংশ নেওয়া চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে ছিল একটি৷ একা একা লড়াই তো হয় না৷ তাই একরকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিল গাজী টিভি৷ আগামী ছয় বছরের জন্য বিসিবিকে দুই কোটি ২৫ হাজার ডলার দেবে প্রতিষ্ঠানটি৷ চলতি মাস থেকে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সম্প্রচার চুক্তির মেয়াদ৷ এই সময়ে দেশের মাটিতে ৩১টি টেস্ট, ৪৩টি ওয়ানডে ও ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের৷
শর্ত পূরণ করতে না পারায় আগেই অযোগ্য ঘোষিত হয় ভারগো মিডিয়া৷ গত পরশু ন্যূনতম মূল্য দুই কোটি ডলার নির্ধারণ করার পর দরপত্র প্রত্যাহার করে নেয় ভারতের স্পোর্টি সলিউশন লিমিটেডও৷ িমডিয়া কমের প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ন্যূনতম মূল্য থেকেও কম৷ নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্য থেকে সামান্য বেশি দিয়েই তাই সম্প্রচার স্বত্ব পেয়ে গেল গাজী৷ এ দুই কোটি ২৫ হাজার ডলার দিচ্ছে তারা অনুষ্ঠান খরচের বাইরেই৷ অর্থাৎ এই পুরো অঙ্কটাই পাবে বিসিবি৷
সর্বশেষ দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রচার চুক্তিতে (২০০৬-২০১২) নিম্বাসের সঙ্গে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বিসিবির৷ কিন্তু নতুন চুক্তিতে বেশ উচ্ছ্বসিত বিসিবির কর্তারা৷ সন্তুষ্টির কথা জানালেন বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান, ‘ন্যূনতম মূল্য আমরা যেটা দিয়েছি, সেটা অনেক ভেবেচিন্তেই ঠিক করেছি৷ ন্যূনতম মূল্য ১৪-১৫ মিলিয়ন হলে হয়তো আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বিড করত৷ কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করেই ২০ মিলিয়ন রেখেছি৷ এখন প্রডাকশন খরচটা ধরে আমরা এই অঙ্কটাকে অনায়াসেই ৪০ মিলিয়ন ডলার বলে দিতে পারি৷ কিন্তু আমরা ওসব বলছি না, ধরছিও না৷ বিসিবি কত টাকা পাচ্ছে, সেটাতেই আমাদের মূল আগ্রহ৷ আমার মনে হয়, সম্ভব সর্বোচ্চ মূল্যটাই আমরা পেয়েছি৷’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাজার যাচাই করার জন্য যে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের হিসাবে আগামী ছয় বছরে ৪৯ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে বিসিবি৷ তার পরও ন্যূনতম মূল্য কেন এত কম রাখা হলো, বিসিবির বিপণন ও বাণিজ্য কমিটির প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ সেটির ব্যাখ্যায় বললেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠান যা দিয়েছে, সেটা অনুমিত মূল্য৷ ইংল্যান্ড বা যেকোনো দেশে অ্যাড রেভিনিউ কত হয়, সেটা ধরে ওটা হিসাব করা হয়েছে৷ বাংলাদেশে অ্যাড রেভিনিউ হতে পারে ৪৫ থেকে ৪৯ মিলিয়ন ডলার৷ এখন যারা সম্প্রচার স্বত্ব কিনছে, তারা তো লাভ করবে৷ তারা যাদের কাছে িবক্রি করবে, তারা কিছু লাভ করবে৷ সঙ্গে ১৫ মিলিয়ন ডলার প্রডাকশন খরচ যোগ করুন৷ অঙ্কটা কিন্তু ৪৫-৪৭ মিলিয়নের মতোই হবে৷’
প্রশ্ন উঠেছে গাজী টিভির স্বত্ব পাওয়া নিয়েও৷ গাজী গ্রুপের মালিকপক্ষের একজন গাজী গোলাম মুর্তজা যে বিসিবির পরিচালক! তবে কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি বলেই জোরালো দাবি কাজী ইনামের, ‘যে বোর্ড পরিচালকের কথা বলা হচ্ছে, গাজী গ্রুপ তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা৷ কিন্তু তিনি নিজে গাজী টিভির সঙ্গে যুক্ত নন৷ তার পরও তিনি লিগ্যাল পেপারে স্বাক্ষর করেছেন যে আমাদের কোনো আলোচনা, মিটিং বা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই থাকবেন না৷ আমরা সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি৷ আর এটা তো উন্মুক্ত নিলাম ছিল, অন্য রকম কিছুর সুযোগ নেই৷’