Thank you for trying Sticky AMP!!

দাম আরও বাড়ল আইপিএলের

৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি রুপিতে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব স্টার ও ভায়াকমের

পরের পাঁচ মৌসুমের জন্য ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি রুপিতে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ডিসনি স্টার, ভায়াকম ১৮ ও টাইমস ইন্টারনেট কিনেছে ভারতের টি-টোয়েন্টি লিগের চার ক্যাটাগরির স্বত্ব। টুইটারে এসব নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) মহাসচিব জয় শাহ।

Also Read: আইপিএলে ৬০ হাজার কোটি রুপির দৌড় থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে আমাজন

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সনি নেটওয়ার্কের নাম এলেও সর্বশেষ মেয়াদের মতো ২০২৭ সাল পর্যন্ত উপমহাদেশের জন্য টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব থাকছে ডিসনি স্টারের কাছে। ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি রুপিতে এ স্বত্ব কিনেছে তারা। তবে টেলিভিশন স্বত্বের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ডিজিটাল স্বত্ব। ২৩ হাজার ৭৫৮ রুপিতে সে স্বত্ব কিনেছে ভায়াকম ১৮। উপমহাদেশে ডিজিটাল স্বত্বের সঙ্গে তাদের কাছে থাকবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেলিভিশন ও ডিজিটাল স্বত্ব। মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ৪১৩ কোটি রুপিতে স্বত্ব কিনেছে টাইমস ইন্টারনেট।

সম্প্রচার স্বত্ব থেকে এবার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ পাবে আইপিএল

উপমহাদেশের সম্প্রচার স্বত্বের জন্য স্টার প্রতি ম্যাচে আইপিএলকে দেবে প্রায় ৫৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি। ডিজিটাল স্বত্বের জন্য ভায়াকম ১৮ খরচ করেছে মোট ২০ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। প্যাকেজ ‘সি’-এর (গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের বাড়তি সংযোজন) জন্য আরও ২ হাজার ৯৯১ কোটি রুপি আইপিএলকে দেবে তারা। ফলে প্রতি ম্যাচে প্রায় ৫৮ কোটি রুপি তাদের কাছ থেকে পাবে আইপিএল।

ইতিহাসে এবারই সম্প্রচার স্বত্ব থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করতে যাচ্ছে আইপিএল। গত মৌসুমে প্রতি ম্যাচ থেকে প্রায় ৫৪ কোটি ২৩ লাখ রুপি আয় করেছিল বিসিসিআই। সেবার পাঁচ বছরের জন্য স্বত্ব কিনেছিল স্টার। এবার প্রতি ম্যাচের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

প্রতি ম্যাচের মূল্য হিসাবে যেকোনো খেলায় আইপিএল এখন বিশ্বের দ্বিতীয় দামি লিগ

জয় শাহ দাবি করেছেন, প্রতি ম্যাচের মূল্য হিসাবে যেকোনো খেলায় আইপিএল এখন বিশ্বের দ্বিতীয় দামি লিগ। আইপিএলের ওপরে আছে এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল)।

Also Read: বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি প্রতিযোগিতা হবে আইপিএল

এবারের আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্বকে চারটি প্যাকেজের আওতায় এনেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। প্যাকেজ ‘এ’-তে ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের টেলিভিশন স্বত্ব, প্যাকেজ ‘বি’-তে ডিজিটাল (স্ট্রিমিং) স্বত্ব, প্যাকেজ ‘সি’-তে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের বাড়তি সংযোজন এবং প্যাকেজ ‘ডি’-তে উপমহাদেশের বাইরের স্বত্ব। শনি ও রোববারের ম্যাচ, প্লে-অফ ও ফাইনালের ম্যাচ ছিল প্যাকেজ ‘সি’-তে।