Thank you for trying Sticky AMP!!

চতুর্থ দিন সকালেই প্রথম টেস্ট হেরে গেছে বাংলাদেশ

৭ উইকেটে হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান, বাংলাদেশের ৭ উইকেট। সিরিজে পিছিয়ে পড়া আটকাতে সাকিব আল হাসানের দলকে করতে হতো অসম্ভব কিছুই। এমনিতেও ৮৪ বা এর কম রানের লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কোনো দলই এর আগে হারেনি কখনো। শেষ পর্যন্ত অসম্ভব কিছু হয়নি, চতুর্থ দিন সকালেই জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে আজ ৭ ওভার ও প্রায় ২৬ মিনিট লাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। জন ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে, জার্মেইন ব্ল্যাকউড ২৬ রানে। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৯ রান।

খালেদ আহমেদের করা দিনের প্রথম ওভারে ডাবলস নিয়ে দলীয় ৫০ পূর্ণ করেন ব্ল্যাকউড। আগের দিন মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে ইনিংস শুরু করলেও আজ খালেদের সঙ্গে অন্য প্রান্তে ইবাদত হোসেনকে আনেন সাকিব। তবে তাঁর বলেই দিনের প্রথম চারটি মারেন ক্যাম্পবেল—প্যাডের ওপর পাওয়া বলে ফ্লিক করে। ঠিক পরের বলেই কাট করে মারেন আরেকটি চার, ব্ল্যাকউডের সঙ্গে তাঁর চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাতেই পূর্ণ হয় অর্ধশতক।

Also Read: কিংবদন্তিদের দ্বীপে নিনজা ‘টেকনিক’

পরে খালেদের ওভারে আরও দুটি চার মারেন ক্যাম্পবেল—প্রথমটি সফট হ্যান্ডে গালি দিয়ে, পরেরটি দারুণ কাভার ড্রাইভে। পরের চার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজনীয় রান নেমে আসে এক অঙ্কে। ওই চার দিয়ে ৪৮ রানে পৌঁছান ক্যাম্পবেল, পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেডেন দিয়ে ক্যাম্পবেলকে মূলত অর্ধশতকের সুযোগ করে দেন ব্ল্যাকউড। পরের ওভারে নাজমুল হোসেনকে সুইপ করে মারা চারে মাত্র ৬৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ক্যাম্পবেল। সে ওভারেই ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

প্রায় ৬ সেশন বাকি থাকতেই তাই প্রথম টেস্ট হারতে হলো বাংলাদেশকে। মূলত প্রথম দিনই যে ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে তারা, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ পেয়েছে সে অর্থে একটিই বড় জুটি, তবে সেটিও সপ্তম উইকেটে গিয়ে। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসানের লড়াকু ১২৩ রানের জুটিতে ভর করেই ইনিংস পরাজয় এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ, এটি এখন বলাই যায়।

Also Read: ব্যাটসম্যানদের কোনো আত্মবিশ্বাস দেখছেন না প্রধান কোচ

সাকিব-নুরুলের জুটির পর তৃতীয় দিন বিকালে অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন খালেদ—নিজের প্রথম ১১ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে। জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জন ক্যাম্পবেল অবশ্য এরপর ধাতস্থ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

তৃতীয় দিন বিকালে ৩ উইকেট নেন খালেদ

ব্যাটিং দুর্দশার বাইরে এ টেস্টে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ ছিল ফিল্ডিং-ও। সেটি অবশ্য বেশ কিছু দিন ধরেই পিছু ছাড়ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে তারা, সেটির মাশুলও গুণতে হয়েছে। পাঁচটি ক্যাচ মিসের সঙ্গে রিভিউ নিয়ে উইকেট পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা—এ টেস্টে দুই দলের মধ্যে বড় একটা পার্থক্য গড়েছে সে সব। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ স্কোরার ক্রেগ ব্রাফেটের (৯৪) একাই পান তিনটি জীবন—০, ১৬ ও ৬৩ রানে।

Also Read: সাকিবকে আক্রমণ ও রক্ষণের ভারসাম্য খুঁজতে বলছেন ডমিঙ্গো

আগামী ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে এমন—ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৩২.৫ ওভারে ১০৩ (সাকিব ৫১, তামিম ২৯; সিলস ৩/৩৩, জোসেফ ৩/৩৩) ও ৯০.৫ ওভারে ২৪৫ (নুরুল ৬৪, সাকিব ৬৩; রোচ ৫/৫৩, জোসেফ ৩/৫৫)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১২.৫ ওভারে ২৬৫ (ব্রাফেট ৯৪, ব্ল্যাকউড ৬৩; মিরাজ ৪/৫৯, খালেদ ২/৫৯) ও ৮৮/৩ (ক্যাম্পবেল ৫৮*, ব্ল্যাকউড ২৬; খালেদ ৩/২৭)

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী