Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ার অপেক্ষার অবসান হলো

আকাশে উড়তে চাইল অস্ট্রেলিয়ানরা। ছবি: এএফপি

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংলিশদের পরিণতি কী হবে আগেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। শেষদিনটি অপেক্ষা ছিল শুধু চোখে দেখার। ১০৫ বল খেলে ২১ রান করা ওভারটর্ন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চাইলেন ক্রিজে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন কই! হেজেলিউডের এলবির ফাঁদে যখন পড়লেন তখন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়েরা ডানা মেলে উড়তে চাইলেন! ১৮ বছরের খরা যে কাটল।

চতুর্থ দিন ২ উইকেটে ১৮ রান তুলে শেষদিনে ৮ উইকেটে ৩৬৫ রান তোলার লক্ষ্যে নেমেছিল স্বাগতিকেরা। অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে সেটা সম্ভব হবে না এটা সবারই জানা ছিল। হয়েছেও তা-ই! দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা অলআউট হলো ১৯৭ রানে। ইংল্যান্ডের ১৮৫ রানের হারের দিনে ডেনলি-রয়-ব্যারিস্টো-বাটলাররা লড়াই করতে চেয়েছিলেন। স্রোতের বিপরীতে লড়াই করা ডেনলি তো অর্ধশতকও করেন (৫৩)। লায়নের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেনলি। কিন্তু অন্যদের লড়াইয়ে তৈরি ছোট ছোট প্রতিরোধের সব দেয়াল অজি পেসার কামিন্সের গতিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
কামিন্স একাই নেন ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের রান যখন ৪ উইকেটে ৭৪ তখন ৪টি উইকেটই কামিন্সের। এরপর অজিদের হয়ে বাকি কাজটুকু সারেন লায়ন আর হেজলেউড। অস্ট্রেলিয়ান এই দুই বোলার ২টি করে উইকেট তুলে নিলে ইংলিশদের ইনিংসের কবর রচনা হয়ে যায়।

এই ম্যাচ জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওভালে শেষ টেস্ট জিতলেও ইংল্যান্ডের কপালে শিরোপা জুটবে না। অ্যাশেজ থেকে যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছেই। ১৮ বছর পর অ্যাশেজ ধরে রেখে বাড়ি ফিরবে অস্ট্রেলিয়ানরা। ২০০১ সালের পর এবারই প্রথম নিজেদের মাটিতে অ্যাশেজ জিততে পারল না ইংল্যান্ড।