Thank you for trying Sticky AMP!!

ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার রেকর্ডটি এখন শুধুই জেমস অ্যান্ডারসনের।

অ্যান্ডারসনের রেকর্ডের দিনে ইংল্যান্ড দলে হতাশা

অ্যালিস্টার কুককে ছুঁয়ে ফেলেছেন আগের টেস্টেই। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডটা খুব বেশি দিনের জন্য ভাগাভাগি করা লাগল না জেমস অ্যান্ডারসনের। আজ এজবাস্টন টেস্টের প্রথম বলের পর সেটি তাঁর একান্ত হয়ে গেল। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে সবার ওপরে এখন ১৬২তম টেস্ট খেলতে নামা অ্যান্ডারসনের।

এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮১ রান করে আউট হয়েছেন ওপেনার ররি বার্নস।

কিন্তু অ্যান্ডারসনের রেকর্ড গড়ার আনন্দে শুরু দিনের দুপুর গড়াতেই ইংল্যান্ড দলে নেমে এসেছে হতাশা। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পড়েনি, কিন্তু দ্বিতীয় সেশন থেকেই কী যেন হলো স্বাগতিকদের! টপাটপ উইকেট পড়ল। ১৮ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিকে চোখ রেখে ছয় বদল নিয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্টদের উল্লাস দেখল এজবাস্টন। দ্বিতীয় সেশনে ৪টি উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। একে একে ফিরে গেছেন ডম সিবলি, জ্যাক ক্রলি, জো রুট ও ওলি পোপ। ১৫২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে রুটের দল।

দিনের খেলা শেষে ৬৭ রান করে উইকেটে ছিলেন ড্যান লরেন্স।

উইকেট পড়াটা অব্যাহত থাকল তৃতীয় ও শেষ সেশনেও। ররি বার্নস, জেমস ব্র্যাসি ও ওলি স্টোন—প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই তিনজন। ওপেনার বার্নস আউট হয়েছেন ১৮৭ বলে ৮১ রান করে। ১৯ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না তাঁর। তবে আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন ড্যান লরেন্স ও মার্ক উড। লরেন্স ৬৭ ও উড ১৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটকে আউট করে কিউই ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস।

অথচ দিনের শুরুটা কী দারুণই না হয়েছিল ইংল্যান্ডের! অ্যান্ডারসনেরও। ২০০৩ সালে টেস্টে পথচলা শুরু করা জিমি টেস্টে উইকেটের সংখ্যায় তো ইংলিশ রেকর্ড (এখন পর্যন্ত ৬১৬টি) আগেই গড়েছেন, টেস্ট খেলার সংখ্যায়ও রেকর্ডটা তাঁর হলো। সব দল মিলিয়ে টেস্ট খেলার রেকর্ডে সপ্তম অ্যান্ডারসন তালিকাটায় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে। ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না এত দূর এসেছি’—বিবিসিতে অ্যান্ডারসনের অবিশ্বাসমাখা আনন্দের প্রকাশ।

অবিশ্বাস্য না হলেও দিনের শুরুটা দারুণ ছিল ইংল্যান্ডেরও। প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ৬৭ রান। কিন্তু মধ্যাহ্নবিরতির পর ধস! নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও প্যাটেলের।