Thank you for trying Sticky AMP!!

আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানের দাপট বেশি

সাকিব ও মোস্তাফিজ আগেও খেলেছেন আইপিএলে।

এপ্রিলে শুরু হতে পারে এবারের আইপিএল। স্বাভাবিকভাবে টুর্নামেন্টে শুরুর অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় দল গোছানো। আইপিএলে দল গোছানো বলতে অপ্রয়োজনীয় পুরোনো খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়া ও চাহিদা অনুযায়ী নিলাম থেকে খেলোয়াড় কেনা। আগামীকাল চেন্নাইয়ে হবে নিলাম।

এবার নিলামে নাম আছে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বাকি তিনজন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাঁদের মধ্যে কেবল আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব ও মোস্তাফিজের।

নিলামের প্রাথমিক তালিকায় এক হাজারের বেশি ক্রিকেটারের নাম ছিল। সেখান থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ন্যূনতম চাহিদা অনুযায়ী বেছে নেওয়া হয়েছে ২৯২ জনকে। তালিকায় বাংলাদেশের যেখানে চার, আফগানিস্তানের আছেন সাতজন।

স্বাভাবিকভাবে নিলাম তালিকায় স্থানীয় ভারতীয় খেলোয়াড়দের সংখ্যা বেশি। ভারতের আছেন সর্বোচ্চ ১৬৪ জন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ৩৫, নিউজিল্যান্ডের ২০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯, ইংল্যান্ডের ১৭, সাউথ আফ্রিকার ১৪, শ্রীলঙ্কার ৯। আইসিসির সহযোগী সদস্য নেপাল, আরব আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও আছেন একজন করে ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ২২৭ জনেরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই।

মাহমুদউল্লাহ আছেন নিলামে।

১২৮ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্য থেকে কেবল ২২ জনকে নিতে পারবে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। সর্বোচ্চ পাঁচজন বিদেশি নিতে পারবে প্রীতি জিনতার ক্লাব কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। চারজন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তিনজন করে কিনতে পারবে দিল্লি ক্যাপিটালস, রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কলকাতা নাইট রাইডার্স দুজন। একজন করে নিতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

পাঁচটি ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) ভিত্তিমূল্য তালিকায় ১০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সাকিব।

তাঁর সঙ্গে একই ক্যাটাগরিতে আছেন স্টিভ স্মিথ, মঈন আলী, অ্যারন ফিঞ্চ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো তারকারাও। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য তিন প্রতিনিধি মোস্তাফিজ ১ কোটি, মাহমুদউল্লাহর ৭৫ লাখ ও সাইফউদ্দিনের ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার রুপি।

সাইফউদ্দিন খেলবেন এবারের আইপিএলে?

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর সূত্র থেকে জানা যায়, সাকিবকে নিয়ে অন্তত তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহী হতে পারে। সর্বশেষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসির কাছ থেকে এক বছর নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০১৯ সালে তাঁকে দলে রাখেনি হায়দরাবাদ। আইপিএলে ৬৩ ম্যাচে ৫৯ উইকেট ও ৭৪৬ রান করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার। দেখা যাক, দুই কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের সাকিবকে শেষ পর্যন্ত কে কত দামে নেয় দলে!

সর্বশেষ ২০১৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছেন মোস্তাফিজ। গত মৌসুমে প্রথমে প্রস্তাব পেয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলার। কিন্তু করোনায় নির্দিষ্ট সময়ে আইপিএল না হওয়ায় রাজস্থানে খেলার প্রস্তাবটা কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর মোস্তাফিজের সামনে আবারও সুযোগ এসেছিল আইপিএল খেলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি মোস্তাফিজের।