Thank you for trying Sticky AMP!!

চেন্নাইয়ে আইপিএলের প্রস্তুতিতে অনুশীলন শেষে চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি

আইপিএলে বাজিকরদের ‘প্রতিষেধক’ হতে পারে করোনা

করোনাভাইরাস কি ক্রিকেটের শুধু ক্ষতি-ই করেছে?
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি প্রতিরোধ ইউনিটের (এসিইউ) প্রধান অজিত সিং অন্তত তা মনে করছেন না। আইপিএল প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, করোনা মহামারি এক অর্থে বড় উপকারই করবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। এখন তো টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মানেই বাজিকরদের ‘দাও’ মারার বড় সুযোগ। করোনার মধ্যে মাঠে ‘জৈব সুরক্ষিত পরিবেশ’ বাজিকরদের খেলোয়াড়দের থেকে দূরে রাখবে বলে মনে করেন বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন প্রধান।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বিসিসিআইয়ের এসিইউ প্রধান বলেন, ‘আইপিএল জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে (বায়ো সিকিউরড বাবল) অনুষ্ঠিত হবে, এ কারণে পার্থক্যটা ধরা পড়বে। বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না (খেলোয়াড়দের)। তাই এটা (পাতানো খেলা) নিয়ন্ত্রণ করাও তুলনামূলক সহজ হবে। অন্য আরেকটি মাধ্যম হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এর মাধ্যমে লোকে যোগাযোগ করবে। এটা নিয়ন্ত্রণের ভার আমাদের।’

এবার আইপিএলে ভক্তদের সঙ্গে মাঠে যোগাযোগের তেমন কোনো সুযোগই নেই খেলোয়াড়দের। এ কারণে খেলোয়াড়েরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পড়ে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অজিত সিং জানালেন আকসু এসব মাধ্যমে কড়া নজরদারি রাখবে, ‘লোকে কিন্তু খোলা মনেও যোগাযোগের চেষ্টা করবে। তবে বন্ধুত্ব কিংবা ভক্ত হওয়ার আড়ালে আরও অনেক কিছুই উদ্‌ঘাটন হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করতে খুব বেশি লোকের দরকার নেই। আমরা পেশাদারদের সাহায্যই নেব।’

২০১৩ সালে পাতানো খেলার অভিযোগে জেরবার হয়েছিল আইপিএল। এ কারণে দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস। এবার ৫৩ দিনের এ টুর্নামেন্টে ৮টি দল এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মীরা থাকবেন। দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তর। প্রয়োজনে আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুর সাহায্য নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অজিত সিং, ‘আইসিসির সরাসরি কিছু করতে হবে না। সাধারণ প্রক্রিয়া মেনেই আমরা তথ্য আদান-প্রদান করব। তবে দরকার হলে সাহায্যও নেওয়া হবে।’

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরাতে শুরু হবে আইপিএল। এ টুর্নামেন্টে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রধান ব্যক্তিটির মতে, করোনা মহামারি বাজিকরদের জন্য পরিস্থিতি একটু হলেও কঠিন করে তুলবে। কারণ খেলোয়াড়দের চলা-ফেরা সংরক্ষিত থাকবে। আগের সংস্করণগুলোর মতো খেলোয়াড়েরা এবার চাইলেই মাঠ ও ড্রেসিং রুমের এখানে-সেখানে যেতে পারবেন না। এতে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাজিকরদের যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করেন অজিত সিং।