Thank you for trying Sticky AMP!!

আইসিসি সভাপতি বললেন, বাংলাদেশের একটাই সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব

বিসিবির সংবর্ধনায় আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। তাঁর বাঁয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ডানে বিসিবি মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। ছবি: প্রথম আলো

তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শশাঙ্ক মনোহর। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের আমন্ত্রণে বিপিএলের ফাইনাল দেখতে বাংলাদেশে আসা আইসিসি সভাপতি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট, অলিম্পিকে ক্রিকেট, টি–টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছেন। মনোহরের সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ থাকল এখানে—

বাংলাদেশের ক্রিকেট
বাংলাদেশ এখন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে। দলটার একটাই সমস্যা, ধারাবাহিকতার অভাব। এটা কাটিয়ে উঠতে পারলে তারা বিশ্বের শীর্ষ দলে পরিণত হতে পারবে।

ক্রিকেটকে অলিম্পিকে নেওয়া কতদূর এগোল
‘আমরা চেষ্টা করছি ক্রিকেটকে অল্পিম্পিকে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে কিছু বাধা আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অল্পিম্পিক শেষ হয়ে যায় ১৫ দিনে। ক্রিকেটের একটা বৈশ্বিক আয়োজন আপনি কীভাবে ১৫ দিনে শেষ করবেন? এটা করতে হলে আপনার স্টেডিয়ামও লাগবে। আর অলিম্পিক তো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোয় হয় না। অলিম্পিকে ক্রিকেট যোগ করলে টুর্নামেন্ট শেষ করতে আপনার অন্তত চারটা স্টেডিয়াম লাগবেই।’

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের অবস্থা কেমন
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেখানে একটা ভালো ক্রিকেট বোর্ড হলে ১৫–২০ বছরে ক্রিকেটের অনেক উন্নতি হবে। ওখানে কোনো ক্রিকেট সংস্কৃতি নেই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতরাই সেখানে খেলেন। এভাবে একটা খেলার উন্নতি হয় না।’

টি–টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ কী
যদি আপনারা সম্প্রচারকারীদের টিআরপি দেখেন, টি–টোয়েন্টির টিআরপিই বেশি। কারণ, খেলাটা অল্প সময়ে শেষ হয়। এখনকার মানুষের পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ দেখার সময় নেই। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের পক্ষে পুরোটা দিন ধরে খেলা দেখা কঠিন। টি–টোয়েন্টি সেখানে শেষ হয়ে যাচ্ছে সাড়ে তিন ঘণ্টায়। অনেকটা সিনেমা দেখার মতো। এ কারণেই টি–টোয়েন্টি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভবিষ্যৎ আসলে কী
‘আমরা বোঝার চেষ্টা করছি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে মানুষের কেমন আগ্রহ তৈরি হয়। সত্যি কথা টেস্ট ক্রিকেট মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির উন্নতিতে আমরা উপায় বের করার চেষ্টা করছি। আইসিসির বোর্ড পরিচালকেরা একটা উপসংহারে পৌঁছেছে যে যদি আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করতে পারি, তাহলে এটা টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখতে পারবে এবং খেলাটার প্রতি মানুষের আরও আগ্রহ তৈরি করবে।’