Thank you for trying Sticky AMP!!

হারের পর দল নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন মাহমুদউল্লাহ

আগামীকাল ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামার আশা মাহমুদউল্লাহর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হতাশা ভোলার ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরের পরিচিত উইকেট ও পাকিস্তানের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা মিলিয়ে আজ জয়ের ভালো সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু স্লগ ওভারের অপরিকল্পিত বোলিং বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে আজ।

টি-টোয়েন্টিতে টানা ষষ্ঠ হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এক দল নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আগামী ম্যাচ নিয়ে আশার স্বপ্ন বুনছেন। বলছেন, আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামার কথা।

আজ নিজের প্রথম কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টসে জিতেছিলেন। আর জিতেই ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সে সিদ্ধান্তকে সঠিক বলার কোনো সুযোগ দেননি ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডারের সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে মাত্র ২৫ রান তুলেছে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বলছেন, তাঁদের কাছে উইকেটটা ভালোই মনে হয়েছিল।

মোস্তাফিজের বাজে ওভারে চাপ কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ

উইকেট দেখে ব্যাটসম্যান ও বোলার—সবারই সুযোগ থাকবে বলে ভেবেছিলেন অধিনায়ক। আর সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ উইকেটের হার বলছে সে পরিকল্পনা কাজে আসেনি। আগামীকাল তাই সিরিজ হার এড়ানোর লক্ষ্যে ভালো পরিকল্পনা করতে চাইছেন, ‘যখন ব্যাট করতে চেয়েছি, তখন ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটই মনে হয়েছিল, কিন্তু বোলারদের জন্যও কিছু থাকবে বলে মনে হয়েছে। আশা করি, আগামীকাল আমরা আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামতে পারব।’

এই পরিকল্পনায় বোলিং আক্রমণ সাজানোর বিষয়টা নিশ্চয় গুরুত্ব পাবে। বোলার হিসেবে খেলা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে যে আজ ২০তম ওভারের আগে বোলিংয়ে আনতেই পারলেন না অধিনায়ক।

বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে উইকেট ব্যাটিংবান্ধব মনে হলেও বাবর আজম স্বীকার করে নিয়েছেন, উইকেট একটু কঠিন ছিল, ব্যাট করা সহজ নয়। এমন উইকেটেও অবশ্য বাংলাদেশ ১২৭ রান তুলে ফেলেছিল। কিছুদিন আগেই মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২২ রান করেও বিশাল জয় পেয়েছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু পাকিস্তান তো এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত।

ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহর ধারণা, রান একটু কম হয়ে গেছে। বোলাররা তবু সে ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে এসে বাংলাদেশের বোলাররা আর পাকিস্তানকে আটকাতে পারেননি। এর জন্য মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘১৪০ রান করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ১২৭ রান নিয়েও মনে হয়েছিল শুরুতে উইকেট পেলে চেষ্টা করা যাবে। বোলাররা সেটা করেছে, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মেহেদী উইকেট পেয়েছে। আমরা জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’

১৫ বলে ৩৬ রানের জুটিতে নওয়াজ-শাদাব ম্যাচ জিতিয়েছেন, সন্দেহ নেই। তবে ২০ ওভার বোলিং কোটা পূরণের জন্য অধিনায়ক যে পরিকল্পনা করেছিলেন, সেটাও এতে ভূমিকা রেখেছে।