Thank you for trying Sticky AMP!!

আগুনের দর্শনার্থীদের ওপর বিরক্ত মিরাজ

উৎসুক জনতার ভিড়ে অগ্নিনির্বাপণ করাই কঠিন। ছবি: প্রথম আলো
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এফআর টাওয়ারের আশপাশে শতসহস্র মানুষের ভিড়। তাদের কেউ কেউ ব্যস্ত মুঠোফোনে আগুন বা আক্রান্ত মানুষের আর্তনাদের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে। জনতার এই ভিড় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা
মেহেদী হাসান মিরাজ

আবারও রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড। বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাতজন। হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে সবার মতো উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরাও।

ঢাকায় কিছু ঘটলেই মুহূর্তে জমে যায় মানুষ। অগ্নিকাণ্ডেও ব্যতিক্রম নয়। আজ যেমন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এফআর টাওয়ারের আশপাশে শতসহস্র মানুষের ভিড়। অগ্নিনির্বাপণে সহায়তার বদলে তারা ব্যস্ত মুঠোফোনে আগুন বা আক্রান্ত মানুষের আর্তনাদের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে। জনতার এই ভিড় অগ্নিনির্বাপণে কত বড় বাধা, সেটি আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত মানুষেরাই জানেন। অহেতুক মানুষের এই ভিড় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হচ্ছে নানা আলোচনা-সমোলাচনা। উৎসুক মানুষের কাণ্ড নিয়ে ভীষণ বিরক্ত প্রকাশ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ দলের এ অলরাউন্ডার উদ্বেগ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিমতলী, রানা প্লাজা, চকবাজারের পর আরও একটা বড় দুর্ঘটনা বনানীর এফআর ভবনে। ভবনের নিচে জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট যেতে পারছে না ঠিক সময়ে। দূর থেকে পানি দিতে হয়েছে। একদিকে আগুনে গ্লাস ভেঙে পড়ছে। ভেতরের মানুষগুলো বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৯-১০-১১ তলা থেকে। আর অন্যদিকে সবাই মোবাইল নিয়ে তৈরি। কে কার চেয়ে ভালো অ্যাঙ্গেলে ফুটেজ নিতে পারে, সেই প্রতিযোগিতা। যেখানে সবার পানি নিয়ে সাহায্য করার কথা, তারা সবাই দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে। দায়িত্বটা কি শুধুই প্রশাসন বা দায়িত্বরত বাহিনীর? নাগরিক হিসেবে আমাদের মধ্য থেকে মানবতা কি হারিয়ে যাচ্ছে?’

মিরাজ সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁদের, যাঁরা জরুরি পথ তৈরি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে মানবতার হাত আরও প্রসারিত হবে, এটিই তাঁর প্রত্যাশা। জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানরাও দুর্ঘটনার সময় ফেসবুকে আহ্বান জানিয়েছেন মানবতার সেবায় সবাইকে এগিয়ে আসতে।