Thank you for trying Sticky AMP!!

আজহার এখনো জানেন না কেন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন

আজহারউদ্দিন নিজের আজীবন নিষেধাজ্ঞার জন্য কাউকে দোষ দিতে চান না। ফাইল ছবি

কিছুদিন আগে প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ‘দুঃসহ অতীত’ নিয়ে কিছুই বলতে চাননি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। সে ‘দুঃসহ অতীত’ তাঁর সব খেলোয়াড়ি অর্জনকে তছনছ করে দিয়েছিল। এমন এক কারণে সেই অতীত এসেছিল যা আজহারকে নায়ক থেকে পরিণত করেছিল খলনায়কে।

ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৯৯ টেস্ট খেলেই আজহার বিদায় জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন ক্রিকেটকে। সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তিনি অবশেষে দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ভারতীয় আদালত তাঁর আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এখনো তিনি জানেন না কেন তিনি নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে আজহার অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অতীতের ব্যাপার’ বলেছিলেন। একই সঙ্গে এ-ও বলেছিলেন তিনি সেই অতীতকে পেছনে ফেলে এসেছেন। কিছুটা বিরক্তির সঙ্গেই বলেছিলেন, ‘আমি বেশি সাক্ষাৎকার দিই না, কারণ সাংবাদিকেরা আমাকে নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করতে বেশি ভালোবাসেন।’

ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির স্বস্তি নিয়েই বলেছেন, ‘এক যুগ লড়াই করে আমি সেই অপবাদ থেকে মুক্ত হয়েছি। আমি ওই নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে লড়তে চেয়েছিলাম। লড়েছি, এবং মুক্তি পেয়েছি। আমি অবশ্য এ ব্যাপারে কাউকেই দোষারোপ করতে চাই না। তবে আমি এখনো জানি না, কেন আমি নিষিদ্ধ হয়েছিলাম।’

কেবল আজহারউদ্দিনই নন, ভারতীয় ক্রিকেটও সেই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অতীতের ব্যাপার’ই মনে করে। সে কারণেই হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটে আজহার নিজের প্রাপ্য সম্মান অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে তিনি বিসিসিআইয়ের সভায় নিয়মিতই উপস্থিত থাকেন। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটা বিশেষ গ্যালারির নামও দেওয়া হয়েছে সাবেক এই অধিনায়কের নামে। আজহার যে ‘অতীত’কে পেছনে ফেলে এসেছেন, সেটা চোখেই দেখা যাচ্ছে।

দেশের হয়ে ৯৯ টেস্ট ও ৩৩৪টি ওয়ানডে খেলে আজহারের রান যথাক্রমে ৬ হাজার ১২৫ আর ৯ হাজার ৩৭৮। টেস্ট তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৫। ওয়ানডেতে সেটি অবশ্য খানিকটা কমই—৩৬.৯২। ১৯৮৪ সালে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টানা তিন সেঞ্চুরির গর্ব নিয়ে।