Thank you for trying Sticky AMP!!

আফগান বোর্ড ও ক্রিকেটারদের 'মুখোশ খুলবেন' গুলবদিন

আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক গুলবদিন নঈব। ছবি: এএফপি

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি) রীতিমতো হুমকিই দিলেন গুলবদিন নঈব। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের মুখোশ খুলে দেবেন বলে টুইট করেছেন দেশটির জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, জনসমক্ষে প্রতিটি সরকারি প্রতিনিধি থেকে বোর্ড সদস্য, ক্রিকেটার, সাবেক বোর্ড কর্মকর্তা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের হুমকি দিয়েছেন গুলবদিন।

কাল রশিদ খানকে সরিয়ে তিন সংস্করণে আসগর আফগানকে অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনে এসিবি। এরপর থেকেই একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন গুলবদিন। ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, গত বিশ্বকাপে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁকে ভীষণ উত্ত্যক্ত করেছেন আসগর এবং এসিবি চেয়ারম্যান আতিফ মাশাল। আসগর আফগানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না বলেও জানিয়ে দেন গুলবদিন।

আফগানিস্তান জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ায় অন্তত এ বছর বেশি দিন কেউ বসতে পারছেন না। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এ বছর একবার নয় দুবারও নয়, তিন-তিনবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পাল্টেছে! পাল্টে দেওয়ার সবশেষ নজিরটা দেখা গেল কাল। রশিদ খানকে সরিয়ে আসগর আফগানকে আবারও তিন সংস্করণে অধিনায়ক করা হয়েছে। অথচ আসগরকেই গত বিশ্বকাপের আগে এপ্রিলে একেবারে হুট করেই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

>

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) মুখোশ খুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গুলবদিন নঈব। গত বিশ্বকাপে তিনি নেতৃত্বভার পাওয়ায় কিছু ক্রিকেটার ইচ্ছে করেই বাজে খেলেছিলেন বলে মনে করেন দেশটির জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক

তখন ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন গুলবদিন নঈব, টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খান ও রহমত শাহ পেয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব। গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তান সব ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর আবারও পাল্টানো হয় নেতৃত্ব। গত ১২ জুলাই তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় রশিদ খানকে। এবার আবারও পাল্টানো হলো নেতৃত্ব। এর পরপরই টানা কয়েকটি টুইট করেন গুলবদিন। এক টুইটে বলেন, ‘অনেকেই জিজ্ঞেস করতে পারেন, এই মাফিয়া চক্রের বিপক্ষে আমি আগে মুখ খুলিনি কেন? আমাকে সরিয়ে দিয়ে ক্রিকেট দলের সমস্যা খুঁজে বের করে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন এবং এই চক্রকে নিষিদ্ধ করার ওয়াদা করেছিল কর্তৃপক্ষ।’

গুলবদিন নঈবের দুটি টুইট। ছবি: টুইটার

আরেকটি টুইটে গুলবদিন লিখেছেন, ‘এমন বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারে কিছু করা হয়েছে? জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আমি সবার সামনেই প্রতিটি সরকারি প্রতিনিধি থেকে বোর্ড সদস্য, ক্রিকেটার, সাবেক বোর্ড কর্মকর্তা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করব। সঙ্গেই থাকুন।’ গত বিশ্বকাপে তিনি নেতৃত্বভার পাওয়ায় কিছু ক্রিকেটার ইচ্ছে করেই বাজে খেলেছিলেন বলে মনে করেন গুলবদিন। এসব ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে গুলবদিন আরেকটি টুইট করেন, ‘এই একই চক্রের যোগাযোগ রয়েছে উচ্চপদস্থ কিছু সরকারি অফিশিয়ালের সঙ্গে। বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর এসব অফিশিয়ালের প্রভাব রয়েছে। বোর্ডের কাছে কেউ কেউ খুব বিশ্রীভাবে স্বীকার করেছে শুধু আমি নেতৃত্ব দেওয়ায় তাদের যেমন খেলার কথা ছিল তেমন খেলেনি।’

নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেও একটি টুইট করেছেন গুলবদিন, ‘প্রিয় আফগানরা, খেলোয়াড় এবং বোর্ডের ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমি এসব কথা প্রকাশ করিনি। দেশের ক্রিকেট ও মানুষ নিয়ে দুর্নীতি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্যান্য অনাচারের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির পরিচয় আমি প্রকাশ করে দেব।’