Thank you for trying Sticky AMP!!

আমাদের সঙ্গে যা করেন সেটা ঠিক না, রোহিতকে তামিম

বাংলাদেশকে পেলেই রোহিত শর্মার ব্যাট চওড়া হয়ে ওঠে। ফাইল ছবি

মেলবোর্নে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ১৩৭, বার্মিংহামে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে অপরাজিত ১২৩, গত বিশ্বকাপে বার্মিংহামেই ১০৪। এ তো ৫০ ওভারের ক্রিকেট গেল। ২০১৮ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ৫৬, গত নভেম্বরে রাজকোটে ৮৫ করে ভারতকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেরানো—বাংলাদেশকে পেলেই কেন যেন অস্বাভাবিক চওড়া হয়ে ওঠে রোহিত শর্মার ব্যাট। সে হোক ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে।

শুক্রবার রাতে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় রোহিতকে তাই তামিম ইকবাল বললেন, 'আপনি আমাদের সঙ্গে যা করেন, সেটা ঠিক না।' বাহাতি ওপেনার খুলে বসলেন পুরোনো বেদনার খাতাটাও, '২০১৫ বিশ্বকাপে আমাদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি করেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপেও সেঞ্চুরি করেছেন। এখানে আমাকে কৃতিত্ব দিতে হবে কারণ, আমি আপনার ক্যাচ ফেলেছিলাম। আপনার কোনো ধারণাই নেই এরপর আমাকে কী পরিমাণ ট্রল করা হয়েছে! এখনো সেই ক্যাচটা নিয়ে কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝে মানুষ বোঝে না এমন ঘটনা মাঠে ঘটে!'

এ যাতনার কথা শুনে রোহিত সান্ত্বনা দিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে, 'সবাই জেতার জন্যই খেলে। দল, খেলোয়াড় সবাই একশ ভাগ দিতে মাঠে যায়। কেউ মাঠে ক্যাচ ফেলতে যায় না। খারাপ খেলতে যায় না। সবাই দল জিততে চায়।'

তামিমকে সান্তনা দিয়ে আরেকটি বাস্তবতা তুলে ধরলেন রোহিত, 'ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ খুবই আবেগপ্রবণ। আমরা খারাপ খেললেও সবাই সমালোচনা করে। আমি বাংলাদেশি খেলেছি, দেখেছি, বাংলাদেশি সমর্থকরা কতটা আবেগপ্রবণ। বাংলাদেশ একমাত্র জায়গা, যেখানে ভারত কোনো সমর্থন পায় না! বিশ্বের যেখানেই যাই না কেন ভারতীয় দর্শকের সমর্থন পেতে আমরা অভ্যস্ত। একমাত্র বাংলাদেশে সেটা হয় না। আমাদের ম্যাচ দেখতে বড়জোড় ১০০-২০০ জন ভারতীয় দর্শক থাকে।'

রোহিতের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার রহস্যও জানতে চাইলেন তামিম। ভারতীয় ওপেনারের সবচেয়ে বড়গুণ, খেললে বড় ইনিংসই খেলেন। সেঞ্চুরি করেও থামতে চান না। ধুমধাম পিটিয়ে সেটি টেনে নিয়ে যান আরও অনেক দূরে। রোহিতের কাছে ইনিংস বড় করার রহস্যটাই জানতে চাইলেন তামিম।

ভারতীয় বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সেটির ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, 'ইনিংসের শুরুতে আমি চাপে থাকি। যখন খেলতে খেলতে সেঞ্চুরি করে ফেলি, তখন আর কোনো চাপ অনুভব করি না। নির্ভার হয়ে খেলতে চেষ্টা করি। আমার কাজ থাকে ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত খেলে যাওয়া। ৪২ ওভারের পর চেষ্টা করি প্রতিটা বল মারতে। এটা অনেক সময় নির্ভর করে আমার সঙ্গে উইকেটে কে আছে, সেটির ওপর। যদি দেখি মিডল অর্ডারের সেট কোনো ব্যাটসম্যান আছে বা পরে আরও ব্যাটসম্যান আছে, তখন সুযোগ নিই।'