Thank you for trying Sticky AMP!!

আল আমিনের কাছে তামিমদের হার

.

ক্লাবের নামডাক বিবেচনায় প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে ‘বড়’ ম্যাচটি কাল ছিল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। মোহামেডান বনাম প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ম্যাচ। কিন্তু দিন শেষে দেখা গেল, এই ম্যাচটিই সবচেয়ে ছোট!
মোহামেডানের ইনিংসের মাঝখানে বৃষ্টিতে দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় ৪১ ওভারের। তারপরও দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ৬৩.৫ ওভার। এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংকের ৭ উইকেটের জয়। বিকেএসপিতে হওয়া দুটি ম্যাচই সে তুলনায় বেশ ‘লম্বা’ ছিল। কলাবাগান-ভিক্টোরিয়া ম্যাচ তো উত্তেজনাও ছড়াল খানিকটা। শেষ পর্যন্ত ১০ রানে জিতেছে কলাবাগান। অন্য ম্যাচে পারটেক্সকে ৭৭ রানে হারিয়েছে খেলাঘর।
আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৩০৭ রান করেছিল মোহামেডান। কিন্তু কাল প্রাইম ব্যাংকের তরুণ অফ স্পিনার আল আমিনের সামনে তামিমও (৪৬) দাঁড়াতে পারলেন না। মোহামেডানের ৮৭ রানের সময় তামিমকে নাজমুলের ক্যাচ বানানো আল আমিন পরে নিয়েছেন আরও চার উইকেট। রকিবুল আর নাজমুলকে তো ফিরিয়েছেন পর পর দুই বলে। ৪৩ রানে ওপেনার শামসুর রহমানের আউটের পর ৯৯ রান তুলতেই অলআউট মোহামেডান।
ডি-এল পদ্ধতিতে ৪১ ওভারে প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৯। ১০ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও সাব্বির রহমান নামার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। প্রথমে উন্মুক্ত চাঁদের সঙ্গে ৪৩, পরে তাইবুর পারভেজের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯৭ রানের জুটি সাব্বিরের। তাতে ২৭.৪ ওভারেই জিতে যায় ব্যাংক দল। পাঁচ ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৭৫ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করেছেন সাব্বির। তিন ম্যাচ খেলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও আবাহনীর সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকও আছে অপরাজিত।
বিকেএসপিতে ৪ উইকেট হাতে রেখেও কলাবাগান করে ২৫৯। মেহরাব হোসেন জুনিয়র, তুষার ইমরান আর মোক্তার আলীর ফিফটির পরও রান কম হওয়ার একটাই কারণ। মেহরাব ও তুষারের একটু বেশিই বল খেলে ফেলা। মেহরাব ৬৩ রান করতে খেলেছেন ১০৮ বল, তুষার ৫৬ করেছেন ৮৬ বলে।
৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভিক্টোরিয়া জয় থেকে দূরে সরে গিয়েছিল শুরুতেই। কিন্তু ওপেনার নাসিরউদ্দিন ফারুকের (৫৮) পর মিডল অর্ডারে শফিউল হায়াৎ (৬৪) ও মঈনুল ইসলামের (৫৭ বলে ৭৫) ব্যাট আশা দেখায়। ষষ্ঠ উইকেটে শফিউল-মঈনুল যোগ করেন ১০৯ রান। তাতে আশাটাও টিকে থাকল শেষ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু ছয় বলে ১৪ রানের চ্যালেঞ্জ জিততে পারেনি ভিক্টোরিয়ার টেল এন্ডাররা। আবুল হাসানের করা ৫০তম ওভারে মাত্র ৩ রানই নিতে পারেন মনির হোসেন ও আশিকুজ্জামান। তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হারল ভিক্টোরিয়া।
বিকেএসপির আরেক মাঠেও ভিক্টোরিয়ার মতোই শুরু ছিল খেলাঘরের, তবে শেষটা নয়। ৬৪ রানে ৩ উইকেট হারালেও অমিত মজুমদারের সেঞ্চুরি (১০১) আর নাজমুস সাদাতের ছয় ছক্কায় ৫১ বলে ৭৯ রান শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৮৮ রান এনে দেয় খেলাঘরকে। জবাবে পারটেক্স অলআউট ২১১ রানে। তিনটি করে উইকেট নিয়ে খেলাঘরের জয় সহজ করেছেন সাদেকুর, তানভির আর আরিফুল। ব্রাদার্স ও ভিক্টোরিয়ার মতো পারটেক্সও এখন পর্যন্ত পায়নি জয়ের দেখা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক, ফতুল্লা
মোহামেডান: ৩৬.১ ওভারে ১৪২ (তামিম ৪৬, রহমত ২৪; আল আমিন জুনিয়র ৫/২৫, আল আমিন ২/২৬)। প্রাইম ব্যাংক (লক্ষ্য ৪১ ওভারে ১৪৯ রান): ২৭.৪ ওভারে ১৫০/৩ (সাব্বির ৭৮*, তাইবুর ৪২*; এনামুল জুনিয়র ১/১৫)।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী (ডি/এল)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আল আমিন জুনিয়র।

ভিক্টোরিয়া-কলাবাগান, বিকেএসপি-৩
কলাবাগান: ৫০ ওভারে ২৫৯/৬ (মেহরাব ৬৩, তুষার ৫৬, মুক্তার ৫২*, তাসামুল ৪৪; মনির ২/৪৬)। ভিক্টোরিয়া: ৫০ ওভারে ২৪৯/৯ (মঈনুল ৭৫, শফিউল ৬৪, নাসিরউদ্দিন ৫৮; হাসান ২/৩১, মুক্তার ২/৪২, মাসাকাদজা ২/৪৩)।
ফল: কলাবাগান ১০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুক্তার আলী।

পারটেক্স-খেলাঘর, বিকেএসপি-৪
খেলাঘর: ৫০ ওভারে ২৮৮/৮ (অমিত ১০১, নাজমুস ৭৯, রবি ৩৪; জুবায়ের ৩/৬৯, নুরুজ্জামান ২/২৭, মামুন ২/৪৬)। পারটেক্স: ৪৫.১ ওভারে ২১১ (জুবায়ের ৪৪, সাজ্জাদ ৩৯, ইরফান ৩৫; আরিফুল ৩/২৪, তানভীর ৩/৩১, সাদেকুর ৩/৫৮)।
ফল: খেলাঘর ৭৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অমিত মজুমদার।