Thank you for trying Sticky AMP!!

আহামরি ক্রিকেট না খেলেও বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত!

ধোনি-কারস্টেন জুটি ভারতকে এনে দিয়েছিল বিশ্বকাপ। ফাইল ছবি

চোখ বন্ধ করলে এখনো অনেকে মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই ছক্কা আর তলোয়ার-নাচন উদ্‌যাপনটা দেখতে পান। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ২৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভারত ম্যাচটা জিতেছিল ১০ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে। ১৯৮৩ সালের পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন গ্যারি কারস্টেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচই চমকে দেওয়া দাবি করলেন। পুরো টুর্নামেন্টে ভারত এমন আহামরি কোনো ক্রিকেট খেলেনি।

আইসিসিকে কারস্টেন বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা গড়পড়তা ক্রিকেট খেলেছি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটা অবশ্য খুব ভালো ছিল, বেশ চাপের মুখে আমাদের খেলতে হয়েছে। তবে তখন আমার কেবলই মনে হচ্ছিল খুব একটা ভালো না খেলেও আমরা জিতছিলাম। ভাবুন তো, তাহলে ভালো খেললে কী হতো!’

ফাইনাল? ফাইনালটির ব্যাপারে কী মত কারস্টেনের? ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত তো চাপেও পড়ে গিয়েছিল জবাব দিতে গিয়ে। সেখান থেকে কী অনায়াসে ম্যাচটা বের করে আনলেন গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি আর ধোনিরা। কারস্টেনের মতে, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা টান টান হয়েছে। আমরা বোলিং মোটামুটি ভালোই করেছিলাম, কিন্তু এই স্কোর ফাইনালের জন্য অনেক কঠিন। তবে ব্যাটিংয়ে আমাদের যে শক্তি ছিল, দলের সামর্থ্য ছিল লক্ষ্যটা পেরিয়ে যাওয়ার। আমার দিক দিয়ে ব্যাপারটা ছিল এমন, ‘‘আচ্ছা ঠিক আছে, কয়েকটা উইকেট হয়তো পড়ে গেছে, কিন্তু এর পর আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় তো আছে।’’ তারপর তো তা-ই হলো। আমাদের আসলেই অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় ছিল। শুধু একজনের এক প্রান্ত থেকে একটা সেঞ্চুরির দরকার ছিল, গৌতম গম্ভীর তা পেলও (৯৭)। ও ছিল আমাদের ব্যাটিং লাইন আপের স্তম্ভ। সেটা ঘিরে ছিল বাকি সব দুর্দান্ত খেলোয়াড়।’

ফাইনালে ধোনি কেন যুবরাজের আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন, সেটিও জানালেন কারস্টেন, ‘ড্রেসিংরুমে একটা ভাবনা চলছিল, মুত্তিয়া মুরালিধরনের বিপক্ষে ডান হাতি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের যুগলটা থাকা দরকার। এ কারণেই যুবরাজের বদলে (বাঁহাতি ব্যাটসম্যান) ধোনি আগে নামার জন্য খুব আগ্রহী ছিল। ও আমাকে এসে জানাল, এরপর আমি নামতে চাই, সেটাই ভালো হবে। আর এই প্রস্তাবে আমারও না বলার কিছু ছিল না।’