Thank you for trying Sticky AMP!!

ইংল্যান্ডকে 'বাংলাদেশ-স্মৃতি' ফিরিয়ে দিল ভারত

রাহুল (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), পান্ডিয়া (বাঁ থেকে তৃতীয়) ও পন্ত (ডানে) সবাই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন। ছবি: এএফপি

ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের ম্যাচপূর্ব বিশ্লেষণে সবাই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। তবে সেটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে, এ উইকেটে সিম ও সুইং কীভাবে সামলাবেন সফরকারীরা, সেটা নিয়েই যত আলোচনা। কিন্তু হলো উল্টো! প্রথমে ব্যাট করেও যেখানে ভারত ৩২৯ রান করেছে, সেখানে স্বাগতিক দল অলআউট ১৬১ রানে! দ্বিতীয় ইনিংসে লিডের আকারটা ভারত এরই মধ্যে ২৯২ রানে নিয়ে গেছে ৮ উইকেট  হাতে রেখে।

অ্যালিস্টার কুক ও কিটন জেনিংস কিন্তু ভালোই শুরু করেছিলেন। ১২ ওভারের মধ্যেই ৫৪ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুই ওপেনার। কিন্তু এরপরই ধস নেমেছে ইংল্যান্ড ইনিংসে। ১৫৮ বলের মধ্যে ১০৭ রান যোগ করতেই স্বাগতিক দল হারিয়ে ফেলেছে ১০ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম এত কম বলে সব উইকেট হারাল ইংল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসেই এটা চতুর্থ সর্বনিম্ন বলের রেকর্ড। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের এভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের বিপক্ষে।

২০১৬ সালে ঢাকা টেস্টে ২৭৩ রানের লক্ষ্যে রীতিমতো ছুটছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছিল ১০০ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বেন ডাকেটের বোল্ড হওয়া দিয়ে শুরু হলো এক ধস। ১৩৪ বলে মাত্র ৬৪ রান যোগ করতেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড। এক সেশনের এক ঝড়ে ১০৮ রানের জয়ই পেয়েছিল বাংলাদেশ।

গতকাল হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত এক স্পেলে ইংল্যান্ডের ১৬১ রানে অলআউট হওয়ার পথে অবশ্য এমন অনেক রেকর্ডই হয়েছে। কাল ৬ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন পান্ডিয়া। তবে তাঁর এ উইকেটগুলো এসেছে ২৯ বলের মধ্যে। ভারতের পক্ষে এর চেয়ে কম বলে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড মাত্র একজনের। ২০০৬ সালে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেতে মাত্র ২৭ বল লেগেছিল হরভজন সিংয়ের।

ঋষভ পন্তের অভিষেক নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে কেমন করেন, এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। সেই পন্ত অভিষেকে ভারতের হয়ে এমনই এক অর্জন করেছেন, যা তাঁর আগে কোনো ভারতীয় উইকেটরক্ষকই করতে পারেননি। কাল ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন পন্ত। অভিষেকে ৫ ক্যাচ নেওয়ার কোনো রেকর্ড ছিল না ভারতের। ক্রিকেট ইতিহাসেই পন্তের আগে মাত্র দুজন এ কাজ করেছেন। দুজনই অস্ট্রেলিয়ান, ব্রায়ান টেবার ও জন ম্যাকলিন।

শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল দুই ইনিংসেই ৬০ রানের জুটি গড়েছেন। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা নিউজিল্যান্ড, অর্থাৎ পেসবান্ধব উইকেটের চরিত্র ধরে রাখা দেশগুলোতে ভারতের উদ্বোধনী জুটির দুই ইনিংসেই পঞ্চাশ পেরোনোর সর্বশেষ ঘটনাটি ৩২ বছর পুরোনো। ১৯৮৬ সালে এজবাস্টনে ১৯৮৬ সালে সুনীল গাভাস্কার ও কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত দুই ইনিংসে ৫৩ ও ৫৮ রান তুলেছিলেন।