ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছিল
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন এখন স্থবির। বর্তমানে কোনো খেলা না থাকতে পারে। তবে পুরোনো খেলার খবরে চোখ বুলিয়ে নিতে নিশ্চয়ই অসুবিধা নেই ক্রীড়াপ্রেমীদের। ১৯৯২ বিশ্বকাপের একটা ঘটনাই যেমন নতুন করে শুনুন।
দুর্দান্ত নেতৃত্বে যেভাবে পাকিস্তানকে ১৯৯২ বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ইমরান খান, ক্রিকেট ইতিহাস তা রূপকথা হিসেবেই বিবেচনা করে। দেয়ালে পিঠ ঠেকা যাওয়া পাকিস্তানের ভাগ্য ঝুলে গিয়েছিল অনেক ‘যদি-কিন্তু’র ওপর। ইমরানের সফল নেতৃত্বে সেই চরম অনিশ্চয়তা জয় করে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। একজন অধিনায়ককে এই অভাবনীয় সাফল্য পেতে হলে দলকে গাঁথতে হয় এক সুতোয়। ভীষণ আস্থা অর্জন করতে হয় সতীর্থদের। ইমরানও নিশ্চয়ই করেছিলেন।
অথচ জাভেদ মিঁয়াদাদ বলেছেন অন্য কথা। ‘বড়ে মিয়া’ একবার পাকিস্তানি এক টিভি চ্যানেলকে বলেছিলেন, ইমরানের বিরুদ্ধে নাকি খেলোয়াড়েরা বিদ্রোহ করতে চেয়েছিলেন। মিয়াঁদাদের ভাষ্যটা হচ্ছে, ‘বিদ্রোহটা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে। আমার কাছে তখন দেশই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলোয়াড়দের বুঝিয়েছিলাম ইমরানের নেতৃত্বে খেলা চালিয়ে যেতে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে আছে তরুণ ইনজামাম-উল-হকের ৩৭ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের সৌজন্যে। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান চলে যায় ফাইনালে। আর ফাইনালের ইতিহাস তো জানাই। ইমরানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিষয়টা যে মিথ্যে নয়, সেটি বোঝাতে মিঁয়াদাদ আরও যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের পরই ইমরান ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়। সেটি ১৯৯২ ইংল্যান্ড সফরের আগেই। বিদ্রোহের ব্যাপারটা সে জানতে পেরেছিল।’
আরও পড়ুন
-
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা, বন্ধ প্রাক–প্রাথমিক
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
মেসিতে মুগ্ধ কাউকে একাদশে রাখবেন না প্রতিপক্ষ দলের কোচ
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব শেষ, তবু হলে থাকছেন নেতারা
-
দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজেপির চিন্তা আরও বাড়ল