Thank you for trying Sticky AMP!!

ইশ, সুশান্তের সঙ্গে যদি আগে দেখা হতো...

সুশান্ত সিং রাজপুতের বাজে সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন মোহাম্মদ শামি। ছবি: টুইটার
>মানসিক অবসাদের সঙ্গে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত। ভারতের তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি সুশান্তের সঙ্গে দেখা না হওয়ার আফসোসে পুড়ছেন

নিজেও এককালে ভুগেছেন মানসিক অবসাদে। এমন সময়ে বেঁচে থাকা যে কত কষ্টের তিনি খুব ভালো করেই জানেন। অবসাদের জন্য তিন-তিনবার আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মোহাম্মদ শামির আফসোস সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে কেন একবার দেখা করলেন না!

একই যন্ত্রণায় বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতকে হেরে যেতে দেখে মন কেঁদে উঠেছে ভারতীয় পেসারের। শামির বারবার মনে হচ্ছে, সুশান্তের অবসাদের কথা জানলে ওর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতেন। চেষ্টা করতেন সুশান্তের মনের বোঝা হালকা করার। কিন্তু এখন তো আর সে সুযোগ নেই। সব দেনা-পাওনার হিসাবের উর্ধ্বে উঠে গেছেন এই বলিউড তারকা।

শামি তাই আফসোসে পুড়ছেন, 'মানসিক অবসাদ এমন জিনিস যাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো অসাধারণ এক অভিনেতার এ কারণে চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। বারবার মনে হচ্ছে, আমি যদি ওর মানসিক যন্ত্রণাগুলোর ব্যাপারে ব্যাপারে জানতে পারতাম! ও আমার বন্ধু ছিল। আমার যখন অমন অবস্থা ছিল,পরিবার আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে ওই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছিল। তাঁরা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল, আমাকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে হবে।'

মানসিক অবসাদের কারণে শামিও একাধিকবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন, 'এমন অনেক সময় এসেছে, যখন আত্মহত্যার কথা মাথায় এসেছে। কিন্তু আমার পরিবার কখনই আমাকে একা থাকতে দেয়নি। সব সময় আমার সঙ্গে কথা বলেছে কেউ না কেউ। এ সব ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতাও অনেক সাহায্য করে। আপনজনের সঙ্গে কথা বললে বা কাউন্সেলিং করালে অনেক উপকার হয়।'

শামির জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময় এসেছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। চোটের সঙ্গে লড়াই করে ১8 মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন। এ জন্য যেতে হয়েছিল আদালত পর্যন্ত।

২০১৫ বিশ্বকাপে শামি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক। হাঁটুর চোট নিয়ে খেলেও ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শামি জ্বলে উঠতে পারেননি, অসিদের বিপক্ষে হেরে ভারতও নেয় বিদায়। এরপর চোটের কারণে ১৮ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবে একজন খেলোয়াড়ের জন্য এ সময়টা খুবই হতাশার।

সে সময়টা এতটাই খারাপ ছিল যে তিনবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন শামি। কিছুদিন আগে রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে সে নিয়ে কথা বলেন তিনি, '২০১৫ বিশ্বকাপে চোট পাওয়ার পর পুরোপুরি সুস্থ হতে আমার ১৮ মাস সময় লেগেছিল। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনার মুহূর্ত ও খুব কঠিন সময়। আমি যখন আবার খেলতে শুরু করি তখন কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমি তিনবার আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলাম।'

২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন শামি। তখন চলছিল ব্যক্তিগত জীবনে টানাপড়েন। স্ত্রী হাসিনের সঙ্গে সম্পর্ক এতটাই তেতো হয়ে উঠেছিল যে শামি বলতেই আলোচনার বিষয় ছিল থানা-পুলিশ।

সেই শামি খারাপ সময় পার করে এসেছেন। যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমারদের সঙ্গে সামলাচ্ছেন ভারতের পেস বিভাগের দায়িত্ব। খারাপ সময় পার করে আসার সুযোগটা যদি সুশান্তও পেতেন!