Thank you for trying Sticky AMP!!

উইকেটে সেট হয়েও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি তামিম ইকবাল

উইকেটের কারণেই বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং

আলজারি জোসেফ ছাড়া নামকরা কেউ নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং লাইনআপে। কাল অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বাকি দুই ‘বিশেষজ্ঞ’ বোলার চেমার হোল্ডার ও আকিল হোসেন।

এমন দলের বিপক্ষেই মাত্র ১২৩ রান তাড়া করতে গিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের। তামিম-লিটন-সাকিব-মুশফিকদের খলতে হলো ৩৪ ওভার। হারাতে হলো ৪ উইকেট।

বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও প্রশ্ন উঠছে ব্যাটিং নিয়ে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা অধিনায়ক তামিম ইকবাল আঙুল তুললেন উইকেটের দিকে, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য এটা ছিল কঠিন উইকেট। চাইলেও সেখানে শট খেলা সম্ভব নয়।’

তবে দিনটি যে ব্যাটসম্যানদের হতে যাচ্ছে না, সেটি বোঝা যাচ্ছিল সকাল থেকেই। কুয়াশাচ্ছন্ন মলিন দিনে সূর্যের দেখাই মেলেনি।

কয়েক দিন ধরেই কড়া রোদ তেমন পড়েনি। ব্যাটিং উপযোগী উইকেট বানাতে সূর্যের আলোর যে প্রয়োজন, সেটি পাওয়া যায়নি। তামিম সেটিই তুলে ধরেছেন, ‘প্রথম যখন উইকেট দেখেছিলাম, খুব ভালো মনে হয়েছিল। সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। তাই কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। এ ধরনের উইকেটে গিয়েই শট খেলা সম্ভব নয়। যারাই ব্যাটিং করেছে, দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছে।’

সাকিবও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি

১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জড়তাও ছিল। মোটামুটি দীর্ঘ বিরতি হয়তো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হাত খোলা থেকে বিরত রেখেছে। সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের চাপও আছে।

প্রতিটি ম্যাচই ২০২৩ বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল উইকেটের মন্থর আচরণ।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে খুব একটা অবাক হননি। তিনি মনে করেন, পুরো ব্যাটিং বিভাগের ছন্দে ফিরতে কিছু সময় তো লাগবেই, ‘লিটন দাস তো স্ট্রোক মেকার। তাকে তো এভাবে খেলতে দেখা যায় না। কাল সে-ও যত রান করেছে, তার চেয়ে দুই গুণ বল বেশি খেলেছে। তামিম, সাকিবও তাই। উইকেট আর ওয়ানডে সুপার লিগের চাপ হিসাব করলে এটাই ঠিক ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে সময় কাটিয়েছে। সেটির খুবই দরকার ছিল।’

বাজে শট খেলে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত

ব্যাটসম্যানরা যে সুবিধা পাননি, সেটি পেয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা। উইকেটের ভেজা ভাবটা সাহায্য করেছে পেসারদের। স্পিনাররাও পেয়েছেন সমান সহায়তা।

মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে যেন নিশ্বাস নেওয়ারও সুযোগ দেননি। বাংলাদেশেরও ভাগ্য ভালো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনোমতে ২০০-২২০ রান করে ফেললেই বিপদে পড়ে যেত দল।