Thank you for trying Sticky AMP!!

ভালো বোলিং করেও উইকেট পাননি তাসকিন।

এখনো সাফল্যহীন বাংলাদেশ

প্রথম টেস্টে পাল্লেকেলের উইকেট ছিল একেবারেই পাটা। বোলারদের করার মতো তেমন কিছু ছিল না সেই উইকেটে। ফলাফল, ম্যাড়মেড়ে ড্র’ই দেখেছে প্রথম টেস্ট। তবে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট কিছুটা বোলিং-বান্ধব হবে, এমন কানাঘুষা ছিল। টসে জিতে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে দ্রুতই ব্যাটিং বেছে নিয়ে সে বার্তাটাই দিয়েছেন অন্যভাবে। ব্যাটিং বেছে নেওয়ার অর্থ শুরুতে ব্যাটিং করাটা সুবিধা হবে, তবে এর মানে এই নয় যে উইকেটে প্রথম টেস্টের মতো বোলারদের জন্য কিছু থাকবে না। টেস্টের পরের দিনগুলোতে উইকেট ভাঙতে পারে, ঘূর্ণি বোলাররাও সুবিধা পেতে পারেন। সেটি হলে পাল্লেকেলের দ্বিতীয় টেস্টটা কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থেকেই শুরু করেছেন শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ গতি আক্রমণে এনেছে বদল। ইবাদত হোসেনের জায়গায় খেলছেন গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী যুবদলের অন্যতম গতি তারকা শরিফুল ইসলাম। তাসকিন আর আবু জায়েদ তো আছেনই। প্রথম টেস্টে তাসকিন প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাঁর হৃদয় নিংড়ে দেওয়া বোলিংয়ে। উইকেটও পেয়েছেন। আজ দ্বিতীয় টেস্টের শুরুর দিনও তাসকিনকে একটু সমীহই করতে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নেকে। বল ব্যাটের এদিক-ওদিক দিয়ে ছুটল। দুই একবার প্যাডেও লাগল। কিন্তু সাফল্য এখনো দূরেই রয়ে গেছে। তাসকিনকে দুর্ভাগা বানিয়ে এরই মধ্যে করুনারত্নের একটা সহজ ক্যাচও ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন।

বাংলাদেশি পেসাররা বেশ কয়েকবার শঙ্কায় ফেলেছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের।

কেবল তাসকিন-ই নন, আবু জায়েদের বলও কিছুটা দেখে-শুনে খেলার প্রবণতা দেখা গেছে লঙ্কান ওপেনারদের মধ্যে। শরিফুল ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৪ রান। বাঁ হাতি পেসারের বল উঠছিল উইকেটে। কয়েকটি বল তো দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ভাবনায় ফেলেছিল ভালোই।

নাজমুলের ক্যাচ মিসের মাশুল বাংলাদেশ এখন কীভাবে দেয়, সেটিই দেখার বিষয়। বিশেষ করে যে উইকেটে পেস বোলাররা পরিশ্রম করে বোলিং করছেন, সে পরিশ্রমের মধ্যেই যদি সহজ ক্যাচ পড়ে যায়, সেটি বিপদের কথা। পাল্লেকেলের দ্বিতীয় টেস্টে টসে হেরে বোলিং করা বাংলাদেশ সে বিপদের গন্ধটা পাচ্ছে প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৬। দুই ওপেনার করুনারত্নে আর থিমিমান্নে দুজনই অপরাজিত ৩২ রানে। প্রথমজন খেলেছেন ৮৫ বল, দ্বিতীয়জন ৭৮ বল।