Thank you for trying Sticky AMP!!

এনামুলের 'আত্মহত্যা'য় কুমিল্লার জিততে দেরি

ব্যাট হাতে তামিম আজ রান না পেলেও কুমিল্লা জিতেছে। ছবি: প্রথম আলো
>সিলেট সিক্মার্সের ৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ১১.১ ওভারে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

সিলেট সিক্সার্স সত্তর রানের নিচে অলআউট হওয়ার পরই বোঝা গিয়েছিল ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চাইলে অবশ্য কিছুটা বিনোদন দিতে পারত। জয়ের লক্ষ্য মাত্র ৬৯ রানের। কত কম বলে এই লক্ষ্য ছোঁয়া যায়—তার একটা পরীক্ষা হলেও হতে পারত! কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের মনে এমন কিছু ছিল কি না, জানা যায়নি। তবে থাকলেও তেমন কিছু দেখতে না পাওয়ার দায় চাপানো যায় এনামুল হক ও তামিম ইকবালের কাঁধে!

এনামুল কি লক্ষ্যটা ৬৯ নয় ১৬৯ ভেবেছিলেন? নইলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রান নেওয়ার জন্য অমন পড়িমরি করে ছুটবেন কেন! তাও রানের ফিফটি-ফিফটি সুযোগ থাকলেও মানা যেত। ওখানে স্রেফ রান হয় না। কিন্তু কুমিল্লা ওপেনারের মাথায় কি ভর করেছিল কে জানে! মিড অফে বলটা ঠেলে দিয়েই এনামুল ছুটলেন ‘আত্মহত্যা’র জন্য। বলটা লুফে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে স্টাম্প ভেঙে ব্যাটসম্যানের মনের ‘ইচ্ছা’ পূরণ করেছেন আফিফ হোসেন। এক ওভার পর তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সিলেটের পেসার সোহেল তানভীর। কুমিল্লা তখন ২.৪ ওভারে ১০ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। মার মার কাট কাট ব্যাটিংয়ের ভাবনা থাকলেও এই বিপর্যয়ে তা উবে যাওয়ার কথা।

শামসুর রহমান আর ইমরুল কায়েস মিলে আর উইকেট পড়তে দেননি। ৫৩ বল হাতে রেখে দুই ব্যাটসম্যান কুমিল্লাকে এনে দিয়েছেন ৮ উইকেটের জয়। এই কয়টা রান তুলতে কুমিল্লার চার ব্যাটসম্যান মিলে খেলেছেন মোট ৬৭ বল। ৩৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শামসুর রহমান। অন্য প্রান্তে কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কিছুটা হাত খুলেছিলেন। ২ ছক্কা ও ২ চারে ২২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল।