Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার অন্য রকম কুমিল্লা

কুমিল্লার জয়ে ব্যাট হাতে অবদান ছিল ইমরুলের। ছবি: প্রথম আলো

বিপিএলের গত আসরে মোটেও ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ১২ ম্যাচে মাত্র ৫ জয় নিয়ে শেষ চারের আগেই ছিটকে পড়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। কিন্তু এবার বিপিএল গড়িয়ে চলার সঙ্গে কুমিল্লার দ্যুতিও ঠিকরে বেরোচ্ছে। আজ যেমন সন্ধ্যার ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে কুমিল্লা তুলে নিল ‘হ্যাটট্রিক’ জয়!
সিলেটের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে আসর শুরু করেছিল কুমিল্লা। এরপর চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টানা দুই জয়ের পর নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সেই চিটাগংকেই আবারও হারাল মোহাম্মদ নবীর দল। চিটাগংয়ের ৪ উইকেটে ১৩৯ রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
‘আইকন’ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল চোটের জন্য প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে না পারলেও এবারের কুমিল্লা সত্যিই অন্য রকম। সেটা কিন্তু তামিমকে সঙ্গে নিয়েই প্রমাণ করেছে তারা। চোট কাটিয়ে চিটাগংয়ের বিপক্ষে এ ম্যাচ দিয়ে বিপিএল ২০১৭ শুরু করলেন তামিম। তাঁর শুরুটা অবশ্য সে রকম ভালো হলো না। ওপেনিংয়ে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে সাদামাটা সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে তামিম আউট হয়েছেন সবার আগে। ২.৩ ওভারে দিলশান মুনাবীরা শিকার হওয়ার আগে ১০ বলে ৪ রান করেন তামিম। কুমিল্লার স্কোর তখন ১ উইকেটে ৭ রান।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে লিটনও (২১) মুনাবীরার শিকার হলে জয়ের পথ হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছিল কুমিল্লাকে। তখন স্কোরবোর্ডে রানও তেমন ওঠেনি (৩৯/২)। কিন্তু এখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিশা পাইয়ে দেন ইমরুল কায়েস-জশ বাটলার জুটি। বাটলার এসে যখন ইমরুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন, জয় থেকে তখনো ৭৮ বলে ১০১ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল কুমিল্লা। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে তাঁদের ৫০ বলে ৭৪ রানের জুটিতে জয়ের পথে ফেরে নবীর দল। ১৫.২ ওভারে সানজামুলের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল।
৩১ বলে ৪৪ রান করা বাটলারকেও তুলে নেন সানজামুল ইসলাম। জয় থেকে তখন অবশ্য ১৬ বলে মাত্র ৬ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল কুমিল্লা। অধিনায়ক নবী আর মারলন স্যামুয়েলস (১১*) মিলে এ আনুষ্ঠানিকতাটুকু সেরে নেন। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এল কুমিল্লা।
গত আসরে কুমিল্লা প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছিল। এবার প্রথম চারটির তিনটিতেই জয় তুলে নিল কুমিল্লা, সেটাও আবার প্রথম তিন ম্যাচে তাঁদের খেলতে হয়েছে তামিমকে ছাড়াই। এ ম্যাচে চিটাগং আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তারকা খেলোয়াড় থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটিতে যেন রান করার লোক নেই! ওপেনিংয়ে ১৯ বলে ৩১ রান করা লুক রনকিই সর্বোচ্চ স্কোরার। ৩০ রান করেছেন সৌম্য সরকার।