Thank you for trying Sticky AMP!!

এভাবেই ঋণশোধ করছেন রশিদ খান

আফগানিস্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী দলকে খেলার সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন রশিদ খান। ছবি: সংগৃহীত

কিডারমিনস্টার ক্রিকেট ক্লাবের মাঠটি রীতিমতো দৃষ্টি নন্দন। চারদিকে গাঢ় সবুজের সমারোহ, লাল ইটে তৈরি ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বাড়িঘর। মাঠে ঢুকলে যেকোনো মানুষেরই মন ছেয়ে যাবে ভালো লাগায়। কিন্তু কাল ফিজিক্যাল ডিজঅ্যাবিলিটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটে শুরুর দিনে ভালো লাগার আরও এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছেন আফগান তারকা রশিদ খান। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আফগানিস্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলকে খেলার সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন এ লেগ স্পিনার।

বিশ্বকাপের পর মাত্র ২০ বছর বয়সেই আফগান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া বর্তমান সময়ের এ তারকা হয়তো এভাবেই আফগান ক্রিকেটের প্রতি নিজের জমে থাকা ঋণের কিছুটা মেটানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি, কিন্তু তাতে রশিদের তারকাদ্যুতি হারায়নি। আফগান ক্রিকেটে তিনি বড় ‘আইকন’ই। শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে অংশ নেওয়া আফগান দলটি হয়তো তাঁর অনুপ্রেরণা পেয়েই জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাঁর উপহার দেওয়া ব্যাট দিয়েই শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের চেনালেন দুই আফগান ব্যাটসম্যান আশরাফ খান করিমি ও জামিল শাহ মানদোজাই।

আশরাফ খেললেন ৮১ রানের ইনিংস। মানদোজাই ৩৯। ম্যাচ শেষে আশরাফকে সেটি মনে করিয়ে দিতেই ইংরেজি না জানা এই শারীরিক প্রতিবন্ধী আফগান ক্রিকেটারটি মিষ্টি করে হেসেই বোঝাতে চাইলেন নিজের অনুভূতি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আফগান দলের আরেক ক্রিকেটার ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কেবল এতটুকুই বলে রাখলেন, রশিদ যত বড় তারকা, তাঁর মনটাও ততটাই বড়। এ মুহূর্তে বাজারের সেরা ক্রিকেট সামগ্রীই আফগান শারীরিক প্রতিবন্ধী দলকে উপহার দিয়েছেন রশিদ।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী উইংয়ের প্রধান আল্লাদাদ নূরি জানালেন রশিদের এ উদ্যোগ সম্পর্কে, ‘আফগানিস্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানাতেই কিডারমিনস্টারে এসেছিল রশিদ। কিন্তু সে খালি হাতে আসেনি। বেশ কিছু ক্রীড়া সামগ্রীও নিয়ে এসেছিল। আমাদেরকে সে বলেছে, আফগান ক্রিকেটের বৃহত্তর কল্যাণ করতে সে সবকিছুই করতে চায়।’

শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের জন্য এই ভালোবাসা রশিদকে আফগান ক্রিকেটে আরও ওপরের সারিতেই তুলে দিল।