Thank you for trying Sticky AMP!!

এ-ই তো আশরাফুল!

আবারও ব্যাটে রান আশরাফুলের

আবারও ব্যাটে রান মোহাম্মদ আশরাফুলের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে কাল ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। যদিও তাঁর এই ফিফটি জেতাতে পারেনি কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে। প্রথমে ব্যাট করে রূপগঞ্জের ৫ উইকেটে করা ৩১৪ রানের জবাবে কলাবাগান গুটিয়ে গেছে ২৮৮ রানে। ২৬ রানের এই হার লিগে কলাবাগানের সপ্তম। 

বড় লক্ষ্যের পেছনে ভালোই ছুটছিল কলাবাগান। ৩ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। আশরাফুল ফিফটির ইনিংসটাকে এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারলে হয়তো দলও পারত। তৃতীয় সেঞ্চুরি হলে আশরাফুলও ভালোভাবে আসতে পারতেন আলোচনায়।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজের তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আবার পথ হারিয়ে ফেলেন। টানা দুই শূন্যের পর দল থেকে বাদই পড়তে যেতে বসেছিলেন। কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরীকে অনুরোধ করেই একরকম দলে জায়গা করে নেন। আর সেই ম্যাচেই ১০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন গত সপ্তাহে। এরপর আবার শূন্য! কাল আবার ৬৭ বলে ৭টি চারে ৬৪। আশরাফুলের পুরো ক্যারিয়ারের সারাংশই যেন এবারের প্রিমিয়ার লিগ।
রূপগঞ্জের বিপক্ষে আশরাফুলের ইনিংসটি অবশ্য সর্বোচ্চ নয়। ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীভৎ গোস্বামীর ব্যাট থেকে এসেছে ৭৫। এ ছাড়া মাহমুদুল হাসানের ৩০, আবুল হাসানের ৩৪ আর ফারুক হোসেনের ২৯ রানেও হারটা এড়াতে পারেনি কলাবাগান।
রূপগঞ্জের ৩১৪ রানে সবচেয়ে বড় অবদান সালাউদ্দিন পাপ্পুর। তাঁর ১২৫ রানের ইনিংসের সঙ্গে আছে মোহাম্মদ নাঈমের ৪৫, নাঈম ইসলামের ৬১ আর পারভেজ রসুলের ৩২। সালাউদ্দিনের ১২৫ রানের ইনিংসটি ৯৫ বলে। এতে আছে ১২টি চার ও ৮টি ছয়। কলাবাগানের আবুল হাসান ও তাইবুর রহমান দুজনেই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আরেক ভুলে যাওয়া ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম কিন্তু এবার দারুণ ধারাবাহিক। ১ সেঞ্চুরি আর ৪ ফিফটিতে ৬৯.৮৫ গড়ে ৪৮৯ রান করেছেন।