Thank you for trying Sticky AMP!!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিজয়ীর বেশে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

শুরুর ধাক্কাটাই যেন অশনিসংকেত ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ সমতা নিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নেমে ক্যারিবীয়রা ব্যাটিংয়ে নেমেই হারায় এভিন লুইসকে। আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। দারুণ ফর্মে থাকা লুইসকে অকালে হারানোর ক্ষতিটা আর পুষিয়ে উঠতে পারেনি তারা। ৪৫.১ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে ৬ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার জয়টা যে খুব সহজে এসেছে তা-ও না। তবুও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হারানোর তৃপ্তি নিয়েই বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশে ব্যাগ গোছানো শুরু করেছে তারা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস আহত হন জশ হ্যাজলউডের বলে, চতুর্থ ওভারেই। হ্যাজলউডের লাফিয়ে ওঠা বলটি হেলমেটে আঘাত করলে তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এর পরপরই ক্যারিবীয়রা পথ হারায়। ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভোরা কিছুই করতে পারেননি। ব্যর্থ হন কাইরন পোলার্ড কিংবা নিকোলাস পুরানরাও।

ফিফটি করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ম্যাথু ওয়েড।

দলের বাজে অবস্থায় লুইস আবারও মাঠে ফেরেন। পুরো ফিট না থেকেও তিনি একাই টেনে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাটিং। করেন ৫৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক তুলে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাশটন টার্নার ও জশ হ্যাজলউড। একটি করে নেন অ্যাশটন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পা।

এভিন লুইস আহত হয়েও টেনেছিলেন ক্যারিবীয়দের।

অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও খুব ভালো হয়নি। ২৭ রানেই তারা হারায় দুই ওপেনার মোজেস হেনরিকেস আর জশ ফিলিপকে। অ্যালেক্স ক্যারি আর মিচেল মার্শ এরপর এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। ক্যারি আউট হন ৩৯ রানে, মার্শ ২৯ রানে। এরপর ম্যাথু ওয়েড ফিফটি করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। ওয়েড খেলেন ৫২ বলে ৫১ রানের ইনিংস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন শেলডন কটরেল, আকিল হুসেন, আলঝারি জোসেফ ও হেইডেন ওয়ালশ।