Thank you for trying Sticky AMP!!

রান তোলার লোক নেই চিটাগংয়ের!

আজও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না সৌম্য। ছবি: শামসুল হক

তারকাদ্যুতিতে চিটাগং ভাইকিংস বাকি দলগুলোর চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। লুক রনকি, মিসবাহ-উল হক, দিলশান মুনাবীরা, ক্রিস জর্ডানদের মতো পরীক্ষিত বিদেশিরা আছেন দলটিতে। দেশিদের মধ্যে আছেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হকের মতো ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে এমন সব খেলোয়াড় নিয়েও চিটগাংয়ের স্কোর সাকল্যে ১৩৯! তা-ও আবার ৬ উইকেট হাতে রেখে!

দলটিতে বড়মাপের খেলোয়াড় থাকলেও রান করার লোক নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঝখানের ওভারগুলোতে অন্তত যেভাবে ব্যাট চালাতে হয়, সেভাবে খেলতে পারছেন না এ দলের মিডল অর্ডার। ওপেনিংয়ে লুক রনকিই যা কিছু করে দিয়ে আসছেন। সৌম্য নিজেদের ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারছেন না। এনামুলকে আগে না নামিয়ে মিসবাহ-সিকান্দার রাজারা নামছেন, কিন্তু ব্যাটে তাঁদের সেই মারকাটারি ব্যাপারটি নেই।
বিপিএলে আগের তিন ম্যাচেও একই অবস্থা। সেভাবে রানের গতি বাড়াতে পারেনি মিসবাহর দল। আজ কুমিল্লার বিপক্ষে লুক রনকি আর সৌম্য সরকার ভালো শুরু এনে দিলেও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চিটাগং বড় সংগ্রহ পায়নি। ৫.১ ওভারে সাইফুদ্দিনের বলে লেগবিফোর হওয়ার আগে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি উপহার দেন রনকি। ১৯ বলে ৩১ রান করেন নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার।
রনকি ফিরে যাওয়ার পর সৌম্যও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১.৩ ওভারে সৌম্য যখন আউট হন, চিটাগংয়ের স্কোর ২ উইকেটে ৮৩। এখান থেকে ন্যূনতম দেড় শ রানের কোটা টপকে যেতে পারত চিটাগং। তা হয়নি পরবর্তী ব্যাটসম্যান দিলশান মুনাবীরা, সিকান্দার রাজা, মিসবাহ-উল হক আর ক্রিস জর্ডানদের ব্যর্থতায়।
২৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন মুনাবীরা। সিকান্দারের সংগ্রহ ২৪ বলে ২০ রান। অধিনায়ক মিসবাহ ১১ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। অর্থাৎ রানের চাকাটা জোরে ঘোরাতে পারেননি কেউই। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের শেষ ৩০ বলে ৪০ রান! ব্যাটিংটা নিয়ে একটু ভাবতেই হচ্ছে তাদের।
আজকের ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে প্রথম নেমেছেন তামিম ইকবাল। বিপিএলের শুরুটা তাঁর জন্য হয়েছে ব্যর্থতারই। ১০ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ৪ ওভারে ২২ রান তুলেছে তারা। লিটন অপরাজিত আছেন ১২ রানে।