Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনার পর কী হবে, সেটাও ভাবছে অস্ট্রেলিয়া

করোনাভাইরাসের সময়ে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সময়টায় ক্রিকেটারদের সময় কাটাতে হচ্ছে ঘরে বসে। পেশাদার ক্রিকেটাররা যেখানে সারা বছর খেলার মধ্যে ব্যস্ত থাকতে অভ্যস্ত, এখন তাদের হুট করেই থাকতে হচ্ছে ঘর বন্দী। এই অলস সময়টা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলার শঙ্কাও আছে।

তাই করোনার সময়টা ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। শুধু ক্রিকেটার নয়, ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য কর্মকর্তাদের দিকেও নজর থাকবে ক্রিকেট বোর্ডের। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, ‘গতকাল টেলিকনফারেন্সে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম, বিশেষ করে আমাদের স্টাফ বা খেলোয়াড় যারা মূলত একা বাসায় আছে। তারা ঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। ছেলে ও মেয়েদের দিকে নজর রাখতে হবে আমাদের। আশা করি, পরিবারের পাশে থাকায় এবং খেলার চাপ থেকে দূরে থাকার একটা প্রভাব তাদের ওপর পড়বে (ইতিবাচক)। তবে আমরা সতর্ক আছি।’

কোচ নিজেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের খোঁজ খবর রাখছেন। কে কীভাবে সময় কাটাচ্ছে সবই কোচিং স্টাফের সদস্যরা জানতে পারছে। ল্যাঙ্গার বলছিলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি ১৫টি টেলিকনফারেন্স করেছি। দেখেছি কাজটা ঠিকঠাক মতোই হচ্ছে। সবার সঙ্গেই সবার যোগাযোগ হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির এটাই সুবিধা।’

মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত না হয়ে ক্রিকেটারদের পরিবারের সঙ্গ উপভোগ করতে বলছেন ল্যাঙ্গার, ‘অনেকেই ১২ মাসে ১০ মাস পরিবারের বাইরে থাকে। এটা আমার ও তাদের জন্য পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ। আমি চাইলেই এখন দাঁড়ি বড় করতে পারি। চাইলে কোনো জুতো না পরেই ঘুরতে পারছি, বাগানে গিয়ে কাজ করতে পারছি, ঘর থেকে কাজ করতে পারছি।’

তবে করোনা পরবর্তী সময়ের জন্যও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের প্রস্তুত থাকার বার্তাও পাওয়া গেছে কোচের কণ্ঠে। আগামী গ্রীষ্মে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে ভারত সফর করবে অস্ট্রেলিয়া। কোচ সে জন্যই হয়তো বলে রাখলেন, ‘আমরা নিজেদের বারবার প্রস্তুত থাকতে বলে থাকি। এটা খেলোয়াড় ও কোচ, সবার জন্যই। পরের সুযোগের জন্য যেন আমরা প্রস্তুতি থাকি। এবারও তাই বলছি।’