Thank you for trying Sticky AMP!!

কলকাতায় হবে না আইপিএলের ম্যাচ?

মুম্বাইয়েই হবে আইপিএলের বাকি সব ম্যাচ?

ভারতে করোনার ভয়াবহ ঢেউয়ের মধ্যে আইপিএল আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন আছে, আছে তীব্র সমালোচনা। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু এ মুহূর্তে আইপিএলের অন্দরমহলে করোনার যে অবস্থা, তাতে টুর্নামেন্টটি মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় কি না, সে শঙ্কায় পড়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এ অবস্থায় কলকাতা আর বেঙ্গালুরুর ভেন্যু বাতিল করে ওই দুই রাউন্ডের সব খেলা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

এ সপ্তাহের শুরুতেই আইপিএলের জৈব সুরক্ষাবলয় ভেদ করে করোনা হানা দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের ভেতরে। কলকাতার বরুণ চক্রবর্তী, সন্দীপ ভারিয়ের আক্রান্ত হয়েছেন। চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজিও করোনায় আক্রান্ত। বালাজি ছাড়াও চেন্নাইয়ের আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লি রাউন্ডে আইপিএলে করোনার এই আক্রমণ টুর্নামেন্টকে বেশ অনিশ্চয়তার মধ্যেই ফেলেছে। দিল্লি এ মুহূর্তে ভারতের অন্যতম করোনা উপদ্রুত শহর।

চেন্নাইয়ের তিনজন করোনা আক্রান্ত।

দিল্লি পর্ব শেষ হলেই আইপিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা কলকাতা আর বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু কলকাতা, বেঙ্গালুরু দুই জায়গাতেই করোনা পরিস্থিতি ভালো না। হাজারে হাজারে মানুষ আক্রান্ত, হাসপাতালগুলো ভরে গেছে রোগীতে। এনডিটিভি জানিয়েছে, বিসিসিআই চায় কলকাতা আর বেঙ্গালুরুর ভেন্যু বাতিল করে ম্যাচগুলো নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে নিয়ে যেতে। জৈব সুরক্ষাবলয়ের কার্যকারিতা বাড়াতেই মূলত এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মুম্বাই হতে পারে সেই ‘একক ভেন্যু’। তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে বলেই করোনা উপদ্রুত শহর হওয়ার পরেও মুম্বাইয়ের কথা ভাবছে ভারতীয় বোর্ড।

মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ছাড়াও আছে পুরোনো ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম আর ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম। বিসিসিআই চাইছে এ তিন মাঠেই একসঙ্গে খেলা চালিয়ে এ মৌসুমের আইপিএলটা শেষ করে ফেলতে। কিন্তু কাজটা তো মোটেও সহজ কিছু না। আটটি দলের জন্য নতুন করে সুরক্ষাবলয় তৈরি করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করার ব্যাপারটি আছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি বিসিসিআই কয়েকটি হোটেলের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ সেরে রেখেছে। এখন নতুন সূচি তৈরি করার কাজটা নিয়েও ভাবা শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসকেরা।

কলকাতা নাইট রাইডার্সেও করোনার থাবা।

বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী হেমাঙ্গ আমিন চূড়ান্ত কিছু অবশ্য জানাতে পারেননি, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক কিছুই ঘটেছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি। এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। যদি নতুন কোনো পরিস্থিতিতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে সেটি আমরা নেব।’

এদিকে এত দিন ভালোমতো আইপিএল চলার পর দিল্লি পর্বেই কেন ক্রিকেটার, কোচ, কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। অনেকেরই অভিযোগ, দিল্লিতে জৈব সুরক্ষাবলয়ে চলছে এন্তার অনিয়ম। তবে দিল্লির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিসিসিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি দুই দিন পরপর আমরা কোভিড পরীক্ষা করাই সবার। আমি সবাইকে ভরসা দিতে পারি, দিল্লির জৈব সুরক্ষাবলয়ে কোনো ত্রুটি নেই।’