Thank you for trying Sticky AMP!!

চন্দরপলে রান আউট চন্দরপল!

গায়ানার হয়ে ব্যাটিংয়ে বাপ এবং ছেলে—শিবনারায়ণ ও ত্যাগনারায়ণ। ছবি: টুইটার
• গায়ানার হয়ে খেলছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল এবং তাঁর ছেলে ত্যাগনারায়ণ।
• ওয়ানডে সেমিফাইনালে শিবনারায়ণের জন্য রান আউট হয়েছেন তাঁর ছেলে।
• উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডের কাছে হেরেছে গায়ানা।

কল্পনা করুন, আপনি একজন উঠতি পেশাদার ক্রিকেটার। ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করছেন নিজের বাবার সঙ্গে—এ পর্যন্ত ভাবতেই যেন কেমন লাগে! তার ওপর বাবা যদি হন খেলাটির কিংবদন্তি, তাহলে প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। অনেক কিছু সামলাতে হয়। ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল এত সব চাপ সামলেও রান আউট হলেন বাবার কারণে!
বাবাটা কে? ভদ্রলোকের নাম শিবনারায়ণ চন্দরপল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক টেস্ট খেলেছেন। জাতীয় দলের জার্সি ছাড়লেও এই ৪৩ বছর বয়সে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন চুটিয়ে। ২১ বছর বয়সী ছেলে ত্যাগনারায়ণের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন গায়ানার ড্রেসিং রুম। এবার আঞ্চলিক সুপার ৫০ লিস্ট-এ ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালেও উঠেছিল বাপ-ছেলের দল। গতকাল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ‘সিনিয়র’ চন্দরপলের স্ট্রেট ড্রাইভের জন্য রান আউট হয়েছেন ‘জুনিয়র’!
সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ড। এই রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৭ রানের মধ্যে সতীর্থ চন্দরপল হেমরাজকে হারান ত্যাগনারায়ণ। না, চন্দরপলদের সঙ্গে হেমরাজের বংশীয় কোনো যোগসূত্র নেই। দ্বিতীয় উইকেট ছেলে ত্যাগনারায়ণের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন শিবনারায়ণ। বাপ-ছেলের এই জুটি স্থায়ী হয়েছে মাত্র ৩.৫ ওভার, এসেছে ‘আনলাকি থার্টিন’—১৩ রান।

চন্দরপলের স্ট্রেট ড্রাইভ। বল রায়ান জনের জুতোয় লেগে ভেঙে দিল স্টাম্প। ত্যাগনারায়ণ রান আউট! ছবি: টুইটার

‘আনলাকি’র কারণটা অবশ্য চন্দরপল নিজেই। মানে শিবনারায়ণ চন্দরপল। রায়ান জনের করা পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ ব্যাটসম্যান। নিজের ফলো-থ্রুতে বলটা জুতো দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন উইন্ডওয়ার্ডের এ পেসার। বল তাঁর জুতোয় লেগে ভেঙে দেয় নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্প আর ত্যাগনারায়ণ ততক্ষণে চলে এসেছেন দাগের বাইরে, অর্থাৎ রান আউট!
ত্যাগনারায়ণের (১২) এভাবে আউট হওয়ার পেছনে তাঁর বাবা চন্দরপলের কিন্তু ইচ্ছাকৃত কোনো ভূমিকা নেই। এ যেন অদৃষ্টের লিখন! কিন্তু বাবা হয়ে তা মানবেন কেন? রায়ান জনের পরের ওভারেই চার বাউন্ডারি মেরে মনের ঝাল মিটিয়েছেন শিবনারায়ণ। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৪ বলে ৩৮, বাবা-ছেলের দলটাও জেতেনি।