Thank you for trying Sticky AMP!!

কেন রিজার্ভ ডে নেই বলল আইসিসি

এভাবেই গতকাল বারবার বাধা দিয়েছে বৃষ্টি। ছবি : টুইটার
>

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে গতকাল। এই নিয়ে বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলো। বিশ্বকাপের কোনো আসরে এত বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি আগে। ফলে, প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বকাপে ‘রিজার্ভ ডে’ না রাখা নিয়ে। এ প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ইংল্যান্ডের প্রকৃতি যেন চাইছেই না, তাদের দেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ সুন্দর হোক, জম্পেশ হোক! পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর গতকাল বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের শিকার হয়েছে বাংলাদেশও। পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি। তিন ম্যাচ এভাবে ‘নষ্ট’ হওয়ার পর বিরক্ত হয়ে উঠেছেন দর্শকেরা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন না হওয়া ম্যাচগুলো আয়োজন করার জন্য আইসিসি ‘রিজার্ভ ডে’র ব্যবস্থা রাখেনি! ব্যাপারটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমন একটি পরিস্থিতিতে আইসিসি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে নিজেদের অবস্থান।

প্রতিটি ম্যাচের জন্য একটি করে রিজার্ভ ডে রাখা মানে স্বাভাবিকভাবেই সে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য অনেক বেড়ে যাওয়া। এতে করে ম্যাচ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গের ব্যবস্থাপনার হয়ে যায় রীতিমতো দুঃসাধ্য। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে রিজার্ভ ডে না রাখার মূল কারণ এটিই। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা করতে হলে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য অনেক বেড়ে যাবে। তখন পুরো টুর্নামেন্টটা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। পিচ প্রস্তুত করা, দলগুলোর যাত্রার সময়সূচি ও বিশ্রামের রুটিন, থাকার জায়গা, ভেন্যু ঠিক দিনে পাওয়া যাবে কি না, স্বেচ্ছাসেবক ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের প্রাপ্যতা ও উপস্থিতি, সরাসরি সম্প্রচারে সমস্যা হবে কি না—এসব কিছুর ওপর প্রভাব পড়বে তখন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, অনেক দর্শকই আছেন, যাঁরা অনেকক্ষণ যাত্রা করে খেলা দেখতে আসেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তার ওপর যেদিন রিজার্ভ ডে রাখা হবে, সেদিনও যে বৃষ্টি হবে না, তারও তো কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

রিজার্ভ ডেতে খেলা আয়োজন করা মানে বিপুল পরিমাণ জনবলের দরকার হবে, জানিয়েছেন রিচার্ডসন, ‘একটা ম্যাচ যখন আয়োজন হয়, তখন ১ হাজার ২০০ জনের মতো মানুষ সংশ্লিষ্ট থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের যাতায়াত করতে হয়। রিজার্ভ ডেতে ম্যাচ রাখা মানে আরও বেশি মানুষকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করা। তবে নকআউট পর্বে ম্যাচগুলোর জন্য রিজার্ভ ডে রয়েছে। আশা করছি, গ্রুপ পর্বের ৪৫টা ম্যাচের মধ্যে অধিকাংশ ম্যাচই ফলাফল দেখবে।’

ইংল্যান্ডে এই সময়ে এমন বৃষ্টিপাত আশা করেনি আইসিসি, জানিয়েছেন রিচার্ডসন, ‘ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বড় বিচিত্র আচরণ করছে। গত দুদিনে আমরা জুন মাসের গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত দেখেছি। এমনটা সাধারণত হয় না। ইংল্যান্ডে জুন মাস সাধারণত বছরের তৃতীয় শুষ্কতম মাস। ২০১৮ সালের জুনে মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টাতেই দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটারের মতো, যা খুবই আশ্চর্যজনক। যখন বৃষ্টি হয়, আমাদের মাঠের কর্মীরা ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেন যেন যে করেই খেলা আয়োজন করা যায়। ওভার–কর্তিত ম্যাচ হলেও যেন হয়।’